তানিয়া হাসান-এর কবিতা






আভিজাত্যের জ্বর

তার একটা মুক্তোর বাগান ছিলো।
ভরাবৈশাখেও যেখানে টাপুরটুপুর করতো চাঁদ
মধ্যডোবায় সে চাষাবাদ করেছিলো তিনটি আভিজাত্যের স্বপ্ন। 
সন্দেশ কিংবা পালঙ্কের নকশা 
সে আঁকেনি তবে বিবিধ অংকে তুমুল এক সমুদ্র ছিলো আয়ত্তে। 
আঙ্গুলের ডগায় ছিলো আস্ত এক মাতৃসদন। 
ঝুম আলেয়ার লুকোচুরিতে চুরি হয় নাই তার কাছারিঘর।
পোয়াতি জোছনায় মুক্তোর মালা আর পড়া হয়নি তার। 
শূন্যে ভারী হতেও সে টাপুরটুপুর করছিলো। 
চুলের মায়ায় না দেখলেও তারে ভাবলেই আমার জ্বর সেরে যায়।






নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে

একটা শীত দিয়েছিলাম তোমায় আগলিয়ে রাখতে কুয়াশা।  
সমুদ্রের বুক চিরে রক্তিম রেখা যদি আদুরীর সীঁথি রাঙাতো,  
হয়তো গাঁদার পাপড়িতে লিখতে পারতেনা তুমি নিরুদ্দেশ! 
আমিটা বদলে যায়না স্বর্ণালি কোকিলের অপেক্ষায়
দুয়ারের শরীর আর পরদুয়ারের স্বপ্নের সংঘর্ষে ভূমিষ্ঠ হয় 
বেজন্মানীল, উড়ে যায় রাত নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে...
কমলা অন্ধকারেও ঠোঁট রাখতে পারোনি কাঠঠোকরার ঠোঁটে
ফেরারি বারান্দাই ভবিতব্য লিখেছিলো 
খয়েরী তাসের ঘরের সাথেই হবে তোমার বাগদান
কিছু উদ্দেশ্যেও বেশ্যা হয়, 
তাদের খেদমতের জন্য হলেও ঘড়ির কাঁটা আটকিয়ে রেখো
বিকলাঙ্গ সকালের দূরত্ব খুব বেশি নেই
ফিরে যে তোমায় আসতেই হবে!





ঝুলে থাকা ব্যাকটেরিয়া 

যেহেতু পরগাছার দাপটেও ক্ষয়ে যায় ছাদের কার্ণিশ
মধ্যে রাতে ঘুমের ভূমিকম্প অমূলক নয়
পচে যেতেই পারে আপনার ফ্রিজ ভরা ভালোবাসা।
আপনার দুর্গন্ধময় গতকালের তান্ডবে জ্ঞানহারাতেই পারে পরমসুন্দর। 
এঠোপাত্রে যে পবিত্র সকাল রেখেছেন ব্যাকটেরিয়া 
সেখানে চুমুখেলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানহানীর দন্ড
দায় নিতে প্রস্তুত থাকুন
জানেনই তো ত্রিবুকের হাতবুলানো যায়না
বিজলীতে রোমাঞ্চ করার পর বজ্রপাতের জন্য দুয়ার খুলে রাখতে হয়
শতপায়ে চুমুখেয়ে ঠোঁট যদি পায়ের আকার ধারন করে
তবে নাস্তিকতাও ঘৃণা করবে আপনায়
অমানুষের শালোয়ার পরে কোথা -ই - বা লুকাবেন দাঁত
শেষ হবার জন্যই যখন শুরু হয় সব
মাস্কের প্রয়োজন ফুরাবে একদিন
চাখাচাখির হাঁড়িতে সাঁতার কাটতে কাটতে
আপনার যে আর মাছের ঝোল রান্না হলোনা!

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন