একর্ডিয়ন সন্ধ্যা
ডালপালা থেকে ঝড়ে ঝরে পড়ছে পপকর্ন। ফুটন্ত বিজলীবালারা বৃষ্টিফোঁটার মাঝে হারালো। ঐ সেই চিত্ত হারালো। এক্কা দোক্কা গোড়ালি ঘর শেষের সমুদ্র ভরিয়ে দেয় রক্তে। এখন চিত্ত বিত্তময় হয়ে ওঠার সময়। নক্ষত্রের নকচারনাল বৃত্তি স্বশাবক ভক্ষণ। ভাঙাচোরা ঘর মশলার কৌট আচারের বয়াম বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে। দুই হাতে খুঁড়ে চলেছি নিয়ানডার্থাল ইতিহাস। গুহায় রক্তাক্ত  উরু কতোবার পিঁপড়েরা ছেঁকে ধরেছে।সন্দেশের ভরাজলে প্রতারণা ধরার পর শাস্তি কোথায়? মহাচেয়ারের জিমন্যাস্টিক চমক। দর্শকদের তাঁবুর মধ্যেই হৃদযন্ত্র বিকল। দর্শক এআই সিংহকে মালা পরিয়েছে। ব্যথা সারানোর চুমুরা  একা একা কঙ্কাল ঘরে চলে গেছে। প্রতিটা দিন কলোরিনা, নাভিমনস্ক মরণঝাঁঝর। 








হৃৎপিন্ডের পিন্ডদান
বন বন ঢ্যুঁড়ত লেডিস চিরুনি ম্যাঁয়। সূর্যকে পালাতে দিয়েছি বৃন্দাবন সারংয়ের ট্রাপিজিয়াম চড়ে। আরজিকরের অমীমাংসিত মাংসখন্ডরাশি বরফযুগে ফিরে গেছে। আদালতের ফাইল সব ফরমালিনে ঘুমিয়ে। আমাদের হৃৎপিন্ড পাপেট শো করে করে ক্লান্ত। রায়রায়ান  কবি অনন্য রায় আর ফাল্গুনী রায় গঙ্গাতীরে কলম দাহ করে ফিরে যাচ্ছেন। তোমরা কিছু ন্যাসস্বর ন্যাসশ্লোগান খুঁজে পেলে? প্রথম আলো এসে অপ্রাথমিক আলো গিলে খায়। পর্যটকরা যাচ্ছে এক দ্বীপের অপ্রাথমিক আলো দেখতে দলে দলে। তারা দল আড়ি করে , আসে না আলোকরাতের প্রেত পৃথিবীতে। 






ব্যানার্জী পাড়া রোড
প্রাচীন লিপি কপালের স্তোকবাক্য। ধাতুসারহীন ভোজনের পরে আবার লিপস্টিক ফিরে আসে সেবিকা জীবনের। গাছমহল্লায় সেই আর্তনাদ চলছে একটানা। শ্লোকবাক্যর পাশে চ্যাংড়া মাণিক্যর রাজত্ব। ভাবি গলাগলি করব। রাক্ষসী রাজত্বকালে সেসব ভাবার আগেই ঘটে। ওদিকে মুখে নুড়ো জ্বালানো ইস্কুল বর্ণাগমে দেশছাড়া। পাড়াতুতো নটবর নটবরিয়া আশাবরীরা রাণীর পিছনে পিছনে করজোড়ে। রাক্ষসীপুরাণ লিখি রাজাদেশে। কবেকার কৃত্তিবাসে এখনো বাঘের গায়ের গন্ধ। চটিমহল দেখতেও পর্যটকরা আসে ভায়োলেট দেশ থেকে। 






সাথি হাসান তাঁর নাম
তুমি হটী বিদ্যালংকার হতে পারো নি। প্রেমিক শিলনোড়া বুক পেতে দিয়ে মরে গেছে। লাইলাক ফুলের হাওয়া মুখে মেখে সন্ধ্যামালতী ফুটে উঠেছে। মানচিত্রের ফ্রান্সে ফ্রাঁসোয়া মিতিন আর আমি মোম ফোঁটা ফেলি। মোমাশ্রু। কবিতামেলার। ভুডুভুতেলী ছবি। অজস্র পুকুরহত্যা সাঙ্গ হলে জলতীরের রমণীরা হেমেন চিত্রকরকে অভিযোগ জানায়। মডেলমৃত্যু। সমাস কর। অন্নের নতুন মুঘল এ আজম। মারমারকাটকাট শব্দে বাজে বাজারের অপরিশোধ্য ঋণ। খালি রক্তের রঙ্গোলী আল্পনা খবরে উঠে আসে। মহাকাশের মিতিন নক্ষত্ররা কতো গর্বিত আমাকে বন্ধু পেয়ে। কে আমি প্রশ্ন নিয়ে জাহাজ নর্থ সী পেরোচ্ছে। কী তার ডেকভাসানো কান্না। দ্রুত লয়ের কান্না শোনা যাচ্ছে মাটির গভীরে। 






ঘোড়ানিম গাছ
কালে ভদ্রে নিও সেরামিক কলসী পারাবারে যায়। পারাবারে আগুন জ্বলে নিয়ন। নয়নভরা মাছ। মাছের কুদরতি। চুষতে চুষতে হাড় ফ্লুরোসেন্ট। যাদের মকান আছে তাদের সামনে 'বাড়ি বাড়ি' চিৎকার করি। হাড় দিয়ে বাড়িঘর বানানো হোক। মানুষ ভাগাভাগি করে নিয়েছে দোহাই শয়তানের আর তেহাই ঈশ্বরের। অভ্রের খোঁজে অভিজিৎ নক্ষত্রে গেলে  দস্তাও সঙ্গে যাবে। খিলখিল খেলবে মাছ। মৎস্যনারীর পায়ে অষ্টধাতুর নূপুর। মজা জোগান দেবার সময় নিভে আসছে। সীমান্ত না চেনা গাছের গলায় দড়ি। গাছ কতো না জানি মজিয়েছিল আমাকে। ধর্ষিত গাছটি মানুষ কাছে এলে জঙ্গি ভাবে। ঘোড়ানিমাতুর চতুর হয়েছি আমরা













দেবযানী বসু 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন