ডিসেম্বর এবং... 


উত্তর 'হ্যাঁ' হলে আপনি আমায় কী দেবেন--

না,কোনো প্রকার খেদ নেই
বৈরাগ্য আসতেই হাসাহাসি করছে সকলে
কিন্তু এটা তো ভীষণ স্বাভাবিক 
ডিসেম্বর নুইয়ে পড়বে এবার
চাঁদের ফাঁকে বিছানার চাদরে জানালার ভিতর 
সূর্য ছোট হতে হতে...

মাছ ধরার জালে আপাত কলঙ্ক
সরে দাঁড়ান।
খাদের পাশে দাঁড়ালে নিজেকে বড় মনে হবে





প্রায় প্রতিদিন বিকেলে নিয়ম করে ডিসেম্বর আসে পশ্চিম দেয়ালে। এই ডিসেম্বর এক রূপক যেন ঠুংরির সুর যেন গতজন্মের পরিচয়।  বারবার তাড়া দিই। হুস্ হুস্ শব্দ করে ভাবি ভয় পাইয়ে দেব। ছাতিম পাতার ছাপ আর তার ভিতর দিয়ে উঁকি দেওয়া মায়া কীভাবে যেন ঘিরে রাখে ওই নির্দিষ্ট দেয়াল। মাপে মাপে পুকুর কাটার পর জল পেয়ে আরও তীব্র হয় ছায়া। আমিও, দানী হতে থাকি ক্রমাগত । তারপর একদিন সবটুকু ফেলে রেখে চলে যায় রোদ। এতকাল যে দেয়াল থেকে সে পুষ্টি সংগ্রহ করল তাকে দিয়ে যায় এক নিশ্চিন্ত বাসস্থান পরিপূর্ণ উৎসব।  
বেহায়া ডিসেম্বর।  লাজলজ্জার মাথা খেয়ে ঘরে ঢুকে আসে সাপের মতো 




অগ্রহায়ণ এলে পোশাক বদলায় সব্বাই। আমি ওইসময়  পুতুলের মাথায় রঙিলা রিবন বাঁধি। তখন ওকে দেখতে লাগে ঠিক মানুষের মতো। ভাস্কর যেভাবে সুপর্ণাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন শীতকালের কথা আমিও ওভাবেই এই পুতুলকে প্রশ্ন করি। প্রসঙ্গ সেই একই, ডিসেম্বর। আসলে অগ্রহায়ণ আর ডিসেম্বর আমার দুই স্তনের মতো, পাশাপাশি সমান্তরাল। ভালবাসা এলে পূর্ণিমার চাঁদ কেটে সমানভাগে বেড়ে দিই উভয়ের পাতে...





নির্দ্বিধায় সবটুকু বলা যায় এমন প্রতিবেশীর সংখ্যা-- 
কমে আসছে, 
ঠিক যেভাবে ডিসেম্বর এলেই কমে যায় আয়ু
মাটি মাখি। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলি গতকাল

হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে পাই গাছের গোড়া
গোড়ালি পর্যন্ত, আমাদের জন্য বরাদ্দ সূর্যাস্ত 
ব্রহ্মতালু পর্যন্ত অমাবস্যা। 
 
তুমি নিজে ছোট হয়েও এতকিছু দিয়েছ ডিসেম্বর, 
এরপর কীভাবে তোমার কাছে বরফ চাইব!

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন