যে ব্যথা
তুমি দাও, তার নিরাময়ও তুমি
কোথায় যেন পড়েছিলাম
সমস্যা যেখানে, সমাধানের
উৎসও ঠিক সেখান থেকেই শুরু
‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’-এ কি?
এখন আর ঠিকঠাক কিছু মনেও পড়ে না
সব স্মৃতিই তরল, ঘোলাটে
যেন ‘সূর্যের ঝড়ে তুমি, আবির্ভাবমাত্র
ওই মুখ দিয়ে নেড়ে দিলে স্তন’
যেন
হিলহিলে শরীরে সাপ লেগে আছে
যেন ডোরাকাটা শরীরে বাঘ লেগে আছে
যেন উৎসব, ত্রস্ত আহ্লাদ
যেন মুছে যাওয়া অস্তিত্বে যেটুকু শরীর
তা হৈহৈ হননে হত্যা করেছি আমি
তারপর অনাসক্তি, জারিত শ্লাঘা
ধ্যান করি, খুঁটে খাই নিজস্ব আঁধার
কেউ কেউ
ফেলে যায় রোদ, ঈর্ষা
জাগে, এখনও সন্ধ্যা আসেনি কেন
চূড়ান্ত আঁধারে জ্বলজ্বল করে
আধফালি চাঁদ— তুমি কি দেখেছ?
সন্দেহ হয়, কেঁপে ওঠে স্বচ্ছতা
এবার অন্তত নির্ধারণ করা যেতেই পারে
যতটা পথ হাঁটলে তুমি
সে পথ কি জাহান্নাম পর্যন্ত বিস্তৃত?
ধুম জ্বর এসেছে
এইটুকু সৌন্দর্য আমার প্রিয়
যেন মূর্ছা যাচ্ছে যাবতীয় চেতনা
নিঃসঙ্গ, মন্থর— যেন খুব ধীরে ডুবছে সূর্য
এ এক আলোর দর্শন, বিয়ন্ড দ্য সিন
আমার ভেতর বাস করে যে লালবর্ণ বৈরিতা
তাকে আমি হত্যা করতে পারিনি এখনও
তোমার কি মনে আছে সেই অলৌকিক সন্ধ্যা?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন