পাথর
খুব দূরে দিগন্তরেখা
কাছে তোমার উজ্জ্বল চোখ
তোমার চোখ পেরিয়ে নীচে
ভয়ংকর একটি খাদ কাঁপছে!
সেই খাদে গড়িয়ে পড়ছে
আমাদের সম্পর্ক!
আমি চিৎকার করতে করতে
ঝাঁপিয়ে পড়ি
জ্ঞান ফিরলে দেখি তুমি ঠিক
আমার পাশে স্থির হয়ে শুয়ে
আর
একটি রক্তাক্ত পাথর আমাদের
ধারণ করে আছেন পরম
                                মমতায়!

                




স্মৃতিমেদুর
আর কিছু মনে নেই
শুধু মনে আছে এক পথচারীকে–
যে হেঁটে যাচ্ছিল তার নিজস্ব
জীবনের দিকে, মনে আছে পাহাড়ের কোলে তখন সূর্যাস্ত, দিগন্তের কোল ঘেঁষে সেই মূহুর্তে একজন নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল! যার চোখ দু'টি
অপলক তাকিয়ে ছিল পথচারীর
সীমাহীন পথের দিকে...

                  




উপসংহার
তুমি যে ভিতর ভিতর খুব ভাঙছিলে
বুঝতে পারিনি!

তোমার নিঃস্ব  হৃদিভার
যেদিন আমার সমস্ত দুঃখের 'পরে
শেফালী হয়ে ফুটেছিল

বুঝেছিলাম
এবার কাহিনীর শেষে নিঝুম কবিতাটি শাদা হয়ে যাবে।

                   




পরমেশ্বর
গোটা আকাশটা এখন
সাদা কাগজ
তাকে ঘিরে আছে ধু-ধু দুপুর
এমনই শূন্যকালে
কবি একমনে লিখছেন
খরা-ক্ষুধা ও রুক্ষতার কথা!
সেই কবিতা পেরিয়ে, গ্রামের পর
গ্রাম পেরিয়ে যে ভিক্ষুক চলেছেন
তাঁকে দেখলেই মনে হয় যেন
যুগযুগান্তের  কোনো অন্নমুগ্ধ বালক!

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন