একা
একটা ঘড়ি ব্যাটারি খেলেই নড়ে
একটা সিঁড়ি জুতো পেলে যায় ওপরে ।
একটা টেবিল নিচ থেকে হাত বাড়ায়
সবাই ভিখারি বিভিন্নভাবে চায়।
একটা শ্মশান চিতা দেখলেই জ্বলে
একটা নেতা থামে না ,কেবলই বলে।
হাঁ করে থাকে একটা পাকস্থলী,
একটা লোক টলতে টলতে
খুঁজে পেয়ে যায় গলি।
নটার বাজার লোক খুঁজছে
সাড়ে আটটায় বসে,
সারা পৃথিবীটা খুঁজছে
কী করে বাড়তি পয়সা আসে !
একটা বাড়ি বয়েসের দোষে ফাঁকা,
একটা কবি লিখছেতো লিখছে,
লিখতে লিখতে একা ।
অনুসূয়াকে চিঠি
আমি ভালো কখন থাকি না অনসূয়া
এত মুখরতা...
পৃথিবী বিপর্যস্ত ছলনায়
মুখে মুখোশের মত অকাতর কথা ।
আমি ভালো কখন থাকি না অনসূয়া
কেউ যদি ভালো থাকে জলেতে জলের মত মিশে
সে থাকুক , থাকুক না সে ।
অর্থ আর অর্থহীনতা
এই দুটো পৃথিবী ছাড়া আর কি মানুষ ভালবাসে ?
সেই সংশয়ে, বিষাদের বিষে একা হতে থাকি
আর দেখি,
নিরুদ্বেগ ঘুম আর সুখহীন হাসি.....
সারা পথে নির্লজ্জ বিক্রয়
ইতিপূর্ব্বে দেখেছ কি জীবনের এত অপচয়?
এত অকাতর অকারণ উৎসব?
স্তাবকতা, অযোগ্যের মুগ্ধতায় জন-কলরব?
তার থেকে
অনসূয়া আমার এই দাহ,রাত্রিকাল,
বিনিদ্রা, বিষাদ, সবই ভালো।
ভোর তো হবেই, তখন প্রথম আলো,
নরম প্রত্যুষের স্বাদ নেব ।
তুমিও আর ঘুমিও না অনসূয়া
তোমার শিশুকে তুমি ঘুম থেকে তোলো
আমি তার হাত ধরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে
রৌদ্রের আকাশে নিয়ে যাব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন