টোকা
কেউ আসেনি এখনও 
এই মনে হওয়া মেনে নিয়ে 
দরজায় টোকা দিতে মাথার ওপর বালি ঝরে 

পুরনো বাড়ি এসব হতে পারে 
হতে পারে নিচের এই নাড়ানোয় 
আয়নোস্ফিয়ার ঝুরঝুরে হয়ে যায় 
মুঠোয় আঁধার চেপে ধরে নিলে 
আলো খানিক তফাৎ চায়। 

তফাৎ চাওয়া আর তফাৎ বুঝে নিলে 
সুস্থতা আরও পোক্ত হয় 
পোক্ত হয়েও এবার শান্তি নেই ক্ষান্তি নেই 
সে এবার নিশ্চিত এক রঙের বায়না ধরায়।






ছায়ার অসুখ
সুলভ মুদ্রাদোষে চেয়েছি 
তুমি বুঝে নাও সহজে খেয়ালি অঙ্গ দোষ। 
তোমার চোখের ফোঁটায় অপমান দূরত্ব হারায় 
ওই আঙুল গত হেমন্তে শীত ধান ছুঁয়ে যেসব প্রলাপ প্রতিজ্ঞা করেছিল 
তারা এখনি সূর্যাস্ত হলে ঘরময় ছায়া হয়ে আগন্তুক অসুখ সারিয়ে দেবে

সেই অঙ্গীকার অঙ্গুরীয় 
ডিওডেনাম টিউবে লজ্জার মাথা খেয়ে ফিরে আসে চিনচিনে প্যারাসিটামলে।







অ্যালফাবেট


যৌনতা সুখ চিহ্ন নিয়ে 
শরীরে ফুটে আছে মনে হয় 
সময় আরো পুরনো হলে ফিকে হয় 
অথচ নিষ্ঠুর হয় ক্ষুধার্ত ডাকের হাতছানি 

ইঙ্গিতের এই অতল গহীন সৌন্দর্য 
অথবা তার নীরব সন্ত্রাসী আহ্বান জামার বোতামে ছটফট করে 
সুদ সমেত কলারে চেপে বসে শ্বাস 
ছলাৎ এবং ছলাতে ভাসিয়ে ওই ওডোনিল সুবাস বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত পুনরায় 

পূর্বাভাসেই জানানো ছিল উড়ে যাবে
ডিপ্রেসড অ্যালফাবেট।


প্রতিটি রাতের নামে গ্লাস তুলি
প্রতিটি রাতের নামে ছুঁড়ি ডিপ্রেসড চুম্বন
রাতের সন্দেহ এসব সত্য মেনে নেয় 
যারা ঘুমোচ্ছে তারাও বেঁচে আছে 
অর্থ সত্য জেনে। 

বাগানে ঝরা পাতা কয়েকটি 
পকেটে রেখে দিলে  
তাদের বোঁটার শিথিল মৃত্যু অভিশাপ মুছে দিয়ে বিষন্ন আলোয় চিকচিক করে ওঠে 

গতকালই চিতা তুলে নিয়ে গেছে 
মাস ছয়েকের শিশুকে
তারপর  খবর হয়েছে 
তার মা দু পা ছড়িয়ে আকাশ দেখবে বলে চোখের মণি ফুলে হাতের মুঠোয়  ধরে রেখেছিল বহুক্ষণ।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন