হর বেরিয়ে পড়েছে একলা ছেলের মাত্র এইটুকু নিয়ে। জীবিকার জন্য ভোর থেকে তার প্রস্তুতির অগোছালো পাঠ। সু-সজ্জিত ইস্পাত নগরীর স্টীল মেল্টিংশপ, ব্লাস্ট ফার্নেস, স্ল্যাগ ব্যাঙ্কের বর্জ্য স্তূপের পাহাড় পেরিয়ে প্রতিদিন ট্রেনে-বাসে ৭৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হয় একটা অজ গাঁয়ে মাস্টারির জন্য। গায়ে মেঠো ঘামের গন্ধ, ফাটা চামড়ার সৃজন চৈত্রে ছায়ার রুক্ষ বাকল ভরিয়ে সে ফিরে আসে আবার সেই ক্রম দূষিত অজস্র শব্দের চিৎকারে ক্লান্ত শহরের সন্ধ্যায়। তার এই গ্রাম্য-শহুরে ভূগোল, জীবিকার জন্য প্রতিদিন তাকে দু'রকম পৃথিবী চেনায়। সংসার পৃথিবীর শব্দতলীর ঘিঞ্জি স্টেশান মাড়িয়ে, শব্দহীন শব্দের সূক্ষ্ম নিরাশ্রয়ে, ধুলোমাখা গ্রাম্য বালকের মতো সে ভিজে যায় আবার। সে মুক্ত হয় নগ্ন ধারাপাতে। প্রতিদিনের পাপ স্খলন করে তার জীবিকার মেঠো গ্রাম। তার কিছু জীবন ভাবনা হয়তো আছে, কবিতা ভাবনা? তার লিখিত শব্দের বিষাদিত দূর নিঃশব্দগুলো এই অগাধ গোধূলিয়ার রাগটিকিটে ভাসিয়ে দেবার অর্থ তাহলে কী? কবিতাই তার কাছে তার কবিতা ভাবনার শেষ খরগোশ। ভুলরঙের ছোপ হয়তো থাকতে পারে সারেঙের দেহে, কিন্তু জলের ভেসে থাকা কাঁথার গন্ধটা তার মিথ্যে নয়। সে বোঝে কেবল চেনা পাঠক আর অচেনা পাঠকদের...

অনেক সাধারণের মধ্যে হদ্দ সাধারণ সে। তার পরিচিতি অল্প। তবু তার যেটুকু লেখা সেটা ঐ চেনা পাঠকদের জন্যই। তাদের ঘাম, যন্ত্রণা, মৃদু উত্তাপ আর আনন্দ বিনিময়ের জন্যই তার লেখা। অচেনা পাঠক তার না-পসন্দ। অচেনা পাঠকরা তার সাংকেতিক মর্মর বুঝবে কী করে! যেহেতু, কবিতা তার কাছে শিল্প বা তত্ত্ব নয়, নাটক-সংগীত-চলচ্চিত্র থেকে আলাদা, এর কোন Marketing হয় না, Public demand তৈরি হয় না, তাই অচেনা পাঠকও হয় না। ছাপোষা, হাড়হদ্দ, অতি সাধারণ বলেই অচেনা মানুষকে তার ভয়। নিজেকে ছাপার অক্ষরে প্রতিদিন পাঠ করেই তার আনন্দ। নিজের লেখাকে ভালবেসে যাওয়াই তার তৃপ্তি। তার মতো করে তার লেখাকে ভালবাসবে কে? জীবন বলতে আমরা কি বুঝি? কবিতায় যাপন 


ইস্তেহার হয়ে যায়। কবিতা-যাপন বলে তার কাছে কিছু হয় না। তার ভাললাগা, আনন্দ, কারুবাসনা, পুরনো গাছের ছায়ায় উঠে আসা শহরতলি, এঁদোবস্তি, পানাপুকুর, বাঁশবন, হোগলাবন, নর্দমার শ্যাওলায় ভেজা ছুটির বসত বাটি, কাঠের পুল টপকে ফিরে আসা ভাঙা সাইকেলের গড়ানো চাকা, কিশোর মহিষের লেজে পাক খাওয়া সরু সুতোর মতো নদীর পত্কর, সমস্ত সুদূরতায় ঘনিষ্ঠ নাগরিক নিসর্গের ঘর পালানো দুপুরবেলা, দূরের উৎস হতে ভেসে আসা প্ল্যাটফর্মে মেঘের হালকা সুগন্ধ, খোলা হাওয়ায় শিশিরের কোণে কোণে পাখির চকিত শৃঙ্গার, এই সব মুহূর্ত গুলোই সে কেবল ভাষা দিতে চায়। ভাবে শুধু সীমানার পরের কথা। তার মনে হয় দেখা, কল্পনা, মন, ভাবনা, আকাশ, অবকাশ, অ্যানোডাইজড সবুজ, বৈষ্ণবীর আখড়ায় তীব্র নিশাচর লেবুফুলের ডিগ্‌দো ডিগো শব্দ গুলোরও সীমা আছে। মানুষ বারে বারেই Limitation এর কাছে। সম্পর্কে, প্রেমে, চিনতে শেখায়, বিশ্লেষণে এমনকী, অনুভবেও। সীমার ওপারে তাহলে কী থাকে! 'অসীম' কী শুধুই শব্দ! চিরকালীন শব্দ থেকে। জানা অজানা শব্দ থেকে শব্দের কী মুক্তি নেই? মুক্তি আসলে কী...? এই সীমা ভাঙনের জন্যই তার আর্তি। অনুভব প্রকাশের হু-বহু চেষ্টা। আরো চেষ্টা। আসলে নিজের ভাষা খোঁজার তাগিদ থেকেই নীলকনকের সর জমে উঠে ভোরের আজানে। ঢপের কীর্তন ভাঙা ব্লু-লেগুনে সাদা মেঘের পল্লবী। নতুন শূন্যের ভেতর মশহুর চিত্রকরের দরজা খোলার বুঁদ। মাতৃভাষা বলে কিছু হয় না। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব মিতভাষা ছাপা কুরুশকাঁটায় বোনা কুয়াশা। এ'ভাবেই ভাষাঞ্চল। রিদমিক আঁখমিচোলি। বিকেলের আড্ডার পাশে নীড় ফলনের টোল নামছে... তাই মৌলিকের বিকল্প হয় না। নকল হয় না। মিডিয়ার শাসন লাঞ্ছনা নেই। স্পনসরদের পশারি দল, নেই। অচেনা পাঠকের না বোঝার বায়নাক্কা নেই। মৌলিক আসলে নতুন। তার স্টেক নেই। কেবল আলোর ভিস্তিওয়ালা। ডানায় তুলিন তিলক। ইজেরগলা ঘন বনের পেছনে কত মুনিয়া তিলেবাজ বগেরি কাজলগৌরী সোয়ালো বাঁশপাতি নীলবগলা। তার চলা নীল শালুকের পোটো পাড়ায়। প্রেরণার কথায় লোফার লাফাংগা। নাটুকে নটবরের আমোদ গেঁড়েমি দেখলে, প্রগতিশীল ভোটার পোলে অরবিট ভাঙচুর চালায়। নতুনের ভদ্রাসন নেই। নেই কেরদানি, কুরু কুরু কুর কাঁই নানা বোল। ব্রজবুলিতে "কনহইয়া" ছাড়া গীত নেই, রাজস্থানী ডিঙ্গল ভাষায় 'ঢোলা' ব্যতীত "গাথা", তেমনি নতুনের আনন্দ চলায়। মুসাফিরের অপমানে আনন্দ, বিষাদে আনন্দ, যন্ত্রণায় আনন্দ। দেদার হাঁড়িয়া পচাই, আদিবাসী জনপদ, ধামসামাদলের বোল, সারিন্দার ছড়, ভাদরিয়া-ঝুমুরের লহর। রাজস্থানের চারণকবিদের ঢোলায় তার আনন্দের আসর গম্ গম্..., "বাজরিয়াঁ হরিয়া লিয়াঁ, বিচি বিচি বেলা ফুল।/জউ

ভরি বুঠউ ভাদ্রবউ, মারু-দেস অমূল।।/ ধরনীলী ধন পুণ্ডরী, ধরি গহগহই গামার।/মারু-দেস সুহামনউ সাঁবণি সাঁঝী বার।"

আনন্দের অচানক ভ্রমণে নতুনের সন্ধান। সুহানা সফরে, দোলা জানলাগুলোর সবুজে টোকা। প্রাকৃত দুধে সারারাত ফুটে ওঠা। হলুদ রিপুর কবুতর বানভাসির চোখে। পুরনো সীমার ব্লো আপ থেকে নতুনের খুঁটিনাটি। ফ্যাতাডুদের প্রচলিত কর্পোরেট সেক্টরের পাশে শরণার্থী মানুষের প্রতিস্পর্ধী খোড়ো পাঠশালা। আমার কর্ডের ঘন কুয়াশা ভেঙে পিকাসোর 'দ্য মোয়াজেল দ্য অ্যাঁভিগন।' বনের পশলায় বাউলের বগা ফান্দে পড়িয়া। আর তাই ফাদ ভাঙা নিরাময়। নাথিং ক্যান এগজিস্ট উইদাউট আ বর্ডার। নাথিং ক্যান ডেভেলপ উইদাউট ক্রসিং/ব্রোকিং/ডেসট্রয়িং দ্য এগজিস্টিং বর্ডার। ক্রস ইওরসেলফ, ক্রস দ্য ইউনিভার্স... নিজেকে ভেঙে বেরোতে গেলে, ভালভাবে প্রথমে আত্মকেন্দ্রিক হতে হয়। তাৎক্ষণিক ঘটনার প্রভাব গৌণ। চারদিকের উত্তাপ সু-পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। ওতে কিছুই হয় না। দুনিয়াদারির প্যাঁচে এত জনবিস্ফোরণ মুদ্রাস্ফীতি দূষণ প্রতিযোগিতা ভাঙন। মানুষের মাথায় মাথায় মানুষের ঘরদোর দেশলাই খোপ। মানুষের আপাত জানার পরিমাণ বেড়েছে, পৃথিবীর তাপ পেড়েছে, মেট্রো সেক্সুয়াল পাণ্ডিত্যে কসমোপলিটান অহমিকা। বেড়েছে পান্ডিত্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আরো চোথা, কালো টাকার সম্ভাবনা। কমেছে গভীরতা-নির্জনতা- পাখি-ঘন জঙ্গল-শৈশব। নির্মমতার শৈলীতে বিশ্বস্ত মানুষের সেবাসদন। তাই মানুষের ভোর হরফগুলোয় ভেসে ওঠা আধো ডোরা পলক ওঠা পায়ের ফলনে ভেতরের essence...। সামান্য তিল জুড়ে সামান্য পশলাটুকুই আমার ইকরার নামা। মৃদু নাজুক ভাষায় পেরিয়ে যেতে চাই গ্লোবাব ট্যুরিজম্, দাঙ্গা, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর-এস.এল.আর., স্পঞ্জ আয়রন, মিনি স্টিল, শপিং মল, আবাসন প্রকল্প, জাভেদ হাবিব স্পেনসার- তানিষ্ক-সত্যপল-হিন্দুজা ভাইদের। শব্দের স্ন্যাপশটে উঠে আসুক কেবল চেয়ে থাকার জল টমটম। রঙের হাওয়া এসে মাঝে মাঝে চোখে তাকায় থমকে...। ভেতরের নীল কাঠবাদাম মেদুর হয়ে আসে। পড়ে থাকে পাতার টুপি কুর্নিশ ছাড়া। ধ্বস্ত মুহূর্তের ওপারে জলে ভেজা হাত দুটো তিতলি কণায় শান্ত হয়ে আসে।

কবি মানুষ হিসাবে নিছক সাধারণ কিন্তু তার নিঃসঙ্গতা অসাধারণ। মানুষের ভূগোলে থেকেও সর্বগ্রাসী আধিপত্যবাদের অনুগত পোষ্য জীবে পরিণত না হয়ে নির্জন কুমোঘরে সারাজীবনের ঘোর তাকে অমোঘ সৃষ্টির নেশায় তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। কবি যেহেতু প্রতিমুহূর্তের ভাবনায় কবি, কোন বায়াস্ট হয়ে যাওয়া ব্যুরোক্র্যাটদের জগত তাকে দুনিয়াদারির প্যাঁচে ফেলতে পারে না। যখন ভাবি, 'দি মেটামরফাসিস' 'দি ট্রায়াল' বা 'দি ক্যাস্ত্রে' তল নেবে যাওয়া গভীর কে বন্ধুর হাতে বিনষ্ট হোক, এই ভেবে উদাসীন হয়ে চলে যাওয়া কাক্কার কথা, তখন ভাবি

বন্ধু ম্যাক্স ব্রড অপ্রকাশিত রচনাগুলি না পুড়িয়ে মানুষকে যে গভীর সভ্যতার কাছে উঠিয়ে নিয়ে আসেন, সে কৃতজ্ঞতার ভাষা আজও আমাদের নেই। কিংবা যাবতীয় স্বীকৃতি এবং প্রাপ্তির ভাঁড়ারকে উদাসীনতায় গুঁড়িয়ে দিয়েও ভেঙে পড়েন না স্বাধীন স্রষ্টা জেমস জয়েস। সিলভিয়া বিচ শেষ পর্যন্ত 'ইউলিসিস'কে আলোর মুখ দেখান। আমাদের তুচ্ছতাগুলো গ্লানিমুক্ত হয়। স্রষ্টার এই স্বাধীনতা, নীরক্ত হৃদপিণ্ডহীন অবয়বশুন্য কৃত্রিম দৈন্য নিঃস্বতা তাবৎ দেউলিয়াপনার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদহীন প্রতিবাদ। সাত্র ফিরিয়ে দেন নোবেল, লরকাকে খুন করা হলেও থেকে যায় তাঁর চিরকালীন স্বর। কবির একাকিত্ব যায় না। জীবনের ক্রমাগত রূপান্তর, সামাজিক সম্পর্কে অবিরাম পরিবর্তন, চিরস্থায়ী মৌল অস্থিরতা অনিশ্চয়তা বা সিন্টাক্টিক, মিথষ্ক্রিয়া, instincts, auto-eroticism, Narcissism, ego-instincts of self- preservation, ভোগবাদ - এ সব কিছুর মধ্যেই কবিকে যেতে হয়। মানুষ হিসাবে বিভিন্ন অভিজ্ঞতাকে হ্যামার করে। কবি উৎসকে অস্বীকার করতে থাকে। তাঁর গভীরতা, বহু ব্যবহৃত, অ-ব্যবহৃত, প্রচলিত, আঁকাড়া শব্দ থেকে নতুন ভাবে লিখিত হতে থাকে। শব্দ গৌণ হয়ে যায়। অব্যক্ত অনুভব, ভাষাহীন ধারাবাহিক পুষ্টিতায় নয়া রঙ পায়। নিরাবেগ নিরাসক্তির একটা process চলতে থাকে। জীবিত চলনক্ষম শব্দ সমূহ নিভৃতজীবী কবিকে একা করতে থাকে। কবি সচেতন ভাবেই নির্ভার হন। আনন্দময়। কম শব্দে বহু অনুভূতির জগৎকে আরপার করে দিতে চান। ফিলিং অফ স্পনটেনিটি, একটা চার্জ বা স্পার্কিংজোন টাটকা ব্লেন্ডেড ফ্লেভারে পারিপার্শ্বিক তাৎক্ষণিক অস্থিরতাকে ছাপিয়ে যায়। কবি 'পারোল বা বাণীর' মুখোশকে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। establishment এর ব্যর্থ concept ভেঙে নিরুদ্দিষ্ট ভ্রমণে পা রাখেন। কবি তাই বন্ধুত্ব করেন, মেলামেশা। এটুকুই। কবিতায়, জীবনে সে একেবারেই একক যাত্রী। তার লেখার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। বারংবার বারংবার। কিন্তু দ্বি- চারিতায় নয়...।

আর, তাই আমার জীবনের এলোমেলো ছন্নছাড়ায় শুনি আধফোটা নানা দৃশ্যের খেয়ালি সম্ভাবনার ব্যথিত প্রসাধনকে। গেরস্তের বহু গিঁট পড়া অনর্গল হাওয়ার নিরাশ্রয়। কতদূরের আরোগ্য রজনী পাখি ফিল্মের সোঁদায়। স্নায়ুর ভেরিমুখে ঝরা চাঁদের এক শিশি গন্ধ। চিলেকোঠার পথ এ জঙ্গল ও জঙ্গল পেরিয়ে টপকে যাচ্ছে টিলার পর টিলা। বৃষ্টিরটুপুর মল্লারে চুল ভিজিয়ে বোতাম খোলা আঙুল। উঠে আসছে ক্রমশ স্পটলাইটের একটানা আড়মোড়া ভাঙার শব্দ। মেঘ খোলা সরসী টেবিলের কুসুম পোয়াতি সায়ং...। এভাবেই নিজেকে নিজেই বলি 'জিয়ো'। স্বপ্নভরা উজলা মাথায় ছাড়িয়ে আলো ক্রসিংএ। থই থই ধূ দু ছলাৎ টিহুমল। কত ডুবজলে এক্কা দোক্কা খিল খিল লেগে।

আমি আজ আর কবিতা বলি না। অবেলার জ্বরে জলটপ্পা ভিজিয়ে আঁচল মাথায় জুড়ে থাকে। পিয়ন গ্রীল করে দু-চার টুকরো চিঠির সঙ্গে। সবুজ স্তনের তিল আমাকে ওঠায় বসায়। টলটলে সড়কের মুঠোভরা মুকুল নেমে যায় ছোট ছোট সিরাজিতে চুমুক দিতে দিতে। আমার না থাকে ব্যক্তিগত, না ওঠে পাবলিক প্যাসান। যখন যেভাবে পারি, বলি। যেটুকু শব্দে, নিরীক্ষায়, দেখায়, মাধুর্যে, নির্ভারে। গভীরে থিতু হওয়া অসুখে যে ভাবনা গুলো ওঠে, কবিতা নামক মনুষ্য সমাজে প্রচারিত ফর্ম বা কনটেন্ট বা শব্দের মধ্যে যদি ধরতে পারি তা হলেই আমার লেখাকে আমি 'কবিতায় ফেলা লেখা' বলতে পারি। মোদ্দাকথায় আমার লেখা কবিতা নিচ্ছে বলতে পারি। হাওয়ায় ফিনকি দিয়ে ওঠা চারদিকের শূন্যতাগুলো, আমায় কি সত্যি শব্দে উগরে দিয়ে চলে যায়? নিজের এই প্রশ্নে গুম হয়ে বসে থাকি কেবল,

সূত্র : স্বপ্নের জেহাদি ও অনান্য গদ্য

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন