শেষের শূন্য
১
ব্যাপ্তির অসাড়তা প্রাঞ্জল অনুবাদের পর কোথাও লুকিয়ে আছে। এবং তাদের মধ্যে কোনো খনিজ সকাল। নিবিড়তর যা কিছু আকস্মিক --- বিপুল ও আপন। এবং যেটুকু আলো পরিচয় পেলো --- আসন্ন বিপরীতে জোয়ারমুখী ভাঁটা। অথচ বিষয়হীন হলে, সেগুলি অন্যগ্রহের
বিন্দু বিন্দু শিশিরের জলছাপ, ঘাসের উপর বিছানো রাত্রিময় সঙ্গমের কথকতা, বিরল প্রজাতির ছায়া, আলস্যের চাদরে ঢাকা সবুজ বকুল --- ইঙ্গিত দিচ্ছে কীসের
২
উত্তরমালা কোনো সমাধান-সূত্র নয়। একটি বিজ্ঞপ্তি নিজস্ব ভঙ্গিমা ছড়িয়ে উড়ে গেলো। গুটিকয়েক পিঁপড়ে টেনে নিচ্ছে আত্মীয়ের মৃতদেহ। শিল্যান্যাস একটি এমন ধারা সত্য-মিথ্যা দুই-ই। আসন্ন পলাশ মুখিয়ে থাকে বসন্তের টানে। রেখাপাত বিমূর্ত হলেওবা অবশেষে দেখা গ্যালো স্থলপদ্ম ফুটে আছে
এখন পর্যন্ত যে কোনো খবর মূল্যহীন। এই দেহ? সৎকার-সমীপে আগুনের খাদ্য। এই মেধা? মুহূর্তের কারিগর
প্রত্যেকটি মৃত্যু আঁচল-ছুট। তাহলে কথাকার যাঁরা? --- তাঁত ঘরে বোনা হয় জাল। শেষের শূন্য বলে কিছু জানা নেই
৩
নির্বাক চেয়ে থাকা জনৈক। ধুতরোর বেড়া ডিঙিয়ে সৌজন্যে বাঁধা লেখা। চাওয়ার মধ্যে থেকে গেলো যেটুকু --- কোনো তৎসম। দীর্ঘ অতীত, কুলোপানা মুখ --- ঢেউ আছে তার। অবকাশটি নিরপেক্ষ। সতর্ক ত্রাণ নীরব ও তৎপর। বিষয় হেলে আছে, মৌলিক অদৃশ্য যা
যৌনতা মরে গেলে তৎপর যে কোষগুলি নিরুৎসাহী। অর্থাৎ এ হেন মৃত মানুষের ঘোষণা কে শুনছে? অথচ জ্যোৎস্নার আলোকে একাকিত্বের ছায়া
৪
অনিবার্য যেটুকু মৃত্যু-আলেখ্য --- কালে ঢাকা --- ফেরেনি, ফেরেও না। হেঁশেলের উপকরণ সমূহ, দাঁড়-বাঁধা নিত্যকার। চালচিত্রে ঝুলে আছে বিজ্ঞাপন। দূরদর্শী জাতকের ছায়াপথ পেরিয়ে ঝপাৎ, খেই হারানো অনন্ত। তাতে সমান্তরাল ইঙ্গিত। ওজন তো নেই, জটিলতাও। যেটুকু আলো যোনিজ --- ব্যাখ্যার অতীত। তত্ত্ব কথা সে'অর্থে পূঁজি-হীন দেহবিবাদ
মধ্যাহ্নের ভরসা --- দিনরাত্রি সহ, যত আকার-নিরাকার সখ্য, শঙ্খ-ধ্বনি, প্রাণী-ডাক, স্বর ও কাম অথবা আপোশ --- হাঁসেদের জলকেলি, নিরীহ জনপদ --- অপেক্ষমান
পৃথিবীর রূপকথা : যথাক্রমে রাগান্বিত এবং সুরেলা যতই হোক --- ভোরের গোধূলি-আঁধার, সীমাহীন রহস্য ধরে আকাশ ছুঁয়ে আছে। ওইটুকু না বোঝা আয়ুপথ কি আমার হতে পারে না
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন