এবার অন্য বাড়ি চলো
সব রাস্তাই বাড়ির দিকে নিয়ে যায়--
ওই তো মোড়গুলো ঘুরলেই,
ওপারে বাড়ি।
তাই বিপথ বলে কিছু হয় না।
তবে তুমি কী আদৌ বাড়ি যেতে চাও?--
তাহলে ঘুরপথ ধরছো কেন!
দেখতে পাওনি পাকুড় গাছের পাশটিতে রাস্তার মোড়ে ওরা ডাকছিল--
যদিও ওদের এই বাড়ি আর নেই--
পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
এমনকি ভেতরে থাকা..., খাতাবই,... --সব।
এখন পড়ে আছে, আধপোড়া হাড়ি পাতিল আর আমি।
হাজার বছরের মোড়ে মোড়ে সহিংসার এমনই কিছু ক্ষত পড়ে আছে!তবুও এগোও, এবার ওরা সাথে আছে।
তাই,এবার আর ভাড়া বাড়ি নয়,
এবার অন্য বাড়ি খোঁজো।
খবরখালিতে
এত বড় বড় কালচে ঘাস--
এখানে বল খেলো না, হারিয়ে যাবে!
এখানে আকাশের জঠর মাটির পা-ধরে কাঁদে--
দিগন্তের এপারে চাঁদ উঠে না কোনো!
এ-মাঠে সবুজ অন্ধকার... এখানে লাল-কালো মানুষেরা ঘুমায়... ছায়া-ছায়া গাঢ় রঙের ভেড়ির পাশ দিয়ে পথিকেরা হেঁটে যায়... নিজেদের ছায়াবৃত্ত খোঁজে...
এখানে,শকুন চিবোয় মরা বাছুরের কান... জোনাকিরা সরে যায় অন্য কোনো মাঠে... তারারা তাদের অনুসরন করে...নিরুপায় পথিকেরা হেঁটে যায়...চেনা ছায়াদের খোঁজে...
আলো জ্বালিয়ে আকাশে বাজপাখি আসে... আমায় ঠিক খুঁজে পায়... স্ক্রীনে টিপ করে... একপলকেই একটু-দেখা হয়ে যাই...
এখানে মোবাইলে শিশুরা ইতিহাস বই পড়ে,
কনিষ্কের ছবি দেখে, হাততালি দেয়...
নন্দনতত্ত্ব
নৈঃশব্দ্যে নৈঃশব্দ্যে ঘষা লাগল--
জ্বলে উঠল আগুন।
(আগুনই তো জ্বলে উঠল!...)
একমাত্র এসব আগুনেই তো
ফুল তার আর্দ্রতাকে ধরে রাখতে পারে--
যা ফোটা দেখবে বলে
বারবার ফিরে ফিরে আসে কবি--
রাত জেগে কুঁড়ির পাশে বসে থাকে....
যেসব মুহূর্তগুলো যেকোন
প্রাচীন বা আধুনিক মতবাদেই
বারবার অধরা রয়ে যায়!....
চলো
এ-বড়ো টাইট ফিটিং সময়।
শীত ও তাপ নিয়ন্ত্রিত কিছু শপিংয়েই ফুরসত!বা 'মোবাইল সুখে বড্ড আছি...বড্ড আছ' দৈনন্দিন সাময়িক প্রবাহের মতো...!
তবুও সংসারের রোদ ছায়ায়
গাছের নীচ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
যদি কখনো মনে হয় নিজের ক্লান্ত পায়ের শব্দ শুনছি, যদি মনে হয়--
' কাউকে আর বলে না কেন কেউ সেই কথাটা!'
যদি মনে হয়--
'বড়ো ব-দ্বীপ এটা-- নির্জন সংকুল! অজানা বাঁক সব বন্ধুর! বন্ধুর!'
তাহলে এই বেলা বলি শোনো--
'সেখানে যাও, যেখানে গলার স্বরগুলো আলাদা হলেও আওয়াজটা এক।'
তাই চলো হাত ধরো,
'চলতে হবে'- বলছে পথ... গাইছে সাথীরা... চলো সেখানেই যাই.......
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন