ক্যামোফ্লাজ
১
ক্রমশ মিহি হয়ে আসা রোদে পুড়ে যাচ্ছে আজকের কলতান—
আকাশ আংশিক কুয়াশাজড়ানো
বাকিটায় দ্বন্দ্ব
ছেঁড়াফাটা বকফুল বাড়ি বয়ে এলে ভাবি
পুরুষ ও নারীর মধ্যবর্তী উপবৃত্তে
ঘাসফড়িং থাকলে
উরুর গায়ে ঈর্ষাজনিত পোড়া তেল জমা হত কি?
২
অহেতুক ভালো থাকার বাতাসে দু একটা পাতা খসে পড়লে
ছায়ারা ক্লাউন সেজে ভিড় করে
যেন এই সেই লাসকাটা ছুরি
পদ্মকুঁড়ির দিয়ে তাকিয়ে
টপ টপ লালা ঝরাচ্ছে
ভলকে ভলকে উঠছে কাদার বিদ্রুপ
আচ্ছা, সাপ আর ছুরির সম্পর্কে পাখির কি স্থান কেউ বলতে পারেন?
৩
গালগুলো আজ আর লাল হয় না
আলতা পরানোর মানুষ
ক্যামোফ্লাজ গল্পের ভেতর ছটফট করছে
মৃণ্ময়ী দুপুর,
বৈষ্ণব হরিণের পাল দেখা করতে চায়
আর কি চায় সেসব উহ্য কথন
আমি জানি,
ঠিক এই সময়ই পায়ের নখ ভেঙে
রক্ত গিলে নেবে ধুলোর দীর্ঘশ্বাস
৪
ড্রিম ক্যাচারের পালকে গুঁড়ো গুঁড়ো বিষাদ
দেওয়ালের ঘুঘু
বুদবুদিয়ে উঠছে অবাক মিথিলা
এখন কোন রঙ নেই
সামলানোর দায় ঝেড়ে গলায় ঝুলিয়েছে
বিলাসবহুল জাগরণ
ঈশ্বর ও ঈশ্বর
চিবিয়ে খাচ্ছে ঈশ্বরীর আলতা
গরমিলের বিসর্গ, চাঁদ আর কিছু শূন্য
৫.
তারপর কেউ চিনতে পারবে ভেবে
আখরোটের আড়ালে সূর্যের স্নানযাত্রা
প্রভৃতি ও মৃত্যুর আদিক্ষেতায়
তুলির টান পড়লে
কালো বেড়াল বেরিয়ে আসে
পায়ে জল ছাপ, কাঁচা ধানের খঞ্জনী
কে বাজায়?
চিনেমাটির তৈরি এক অপূর্ব জীবন...
৬.
এবং, শেষ পাতেই আস্ত ট্রামের আস্ফালন নিয়ে
সুত্র আবিষ্কারকদের বলব
মোনালিসার পর যত মোনালিসা জন্মেছে
তারা কেউ একা হতে শেখেনি
কারও ভগ্নাংশে কামড়ের দাগ নেই
না আছে খুবলানো বগি
হুইসেল দেবার আগে পা-দানিতে মহাকাশ বেঁধে
দেখে নেবেন
নীলের ঘনত্বে কতগুলো নখের দাগ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন