পতন ঊর্ধ্বমুখী
অর্থাৎ স ক ল দৃষ্টি তাকায়ে রয়। তাকাবার নয়
যা আছে তার কেবল কিছুটা খামতি মেজপিসি দিয়ে গেছে
বলে গেছে— এ শূন্যতায় করুণাময় রাত্রি বিশেষ কিছু নয়
তিলে তিলে যুবতীভ্রম
মালা গাঁথার পর রাস্তা চিনেছি। ভোর কিনেছি ব্রহ্ম মুহূর্ত
করদনদী ঢলে আছে (আমাদের বক্ষের ওজর মাপে—)
এ দুষ্মন্ত তরীতে স্নানের মহাকেশ পর্ব লুকায়ে রাখা
কেউ বলে গেছে, ভাবি উজাড় করে কেন অমন ভাবে চেয়ে থাকা!

এই তো গতরাত্রির আগে ভরা সন্ধেয় তোমার কাছে 
মিথ্যে বলা— সে সাহস যেন যন্ত্রণার মরুদ্যান : জরৎকারু
তুমি কেউ ত্রস্তআনন্দ কেউ ভাঙা মোচ্ছব কেউ
এমন আজানের বেলায় ধার্মিকতা দূরবর্তী বিচ্ছেদের সন্তান
গলে গলে সারসংক্ষেপ...
নিশিদিন গভীর বিষবৃক্ষে আমাদের সমর্পণ ও ভালোবাসা...
অর্থাৎ দূরদর্শিতার নাম কেবল পতনের ঊর্ধ্বমুখে বৃহৎ বিলাপ

স ক ল দৃষ্টি তাকায়ে রয় যা তাকাবার নয়—





চন্দন আঁকা বাড়ি
তোমার চন্দন আঁকা কপালের ভেতর দিয়ে বৃহৎ রাস্তা চলে গেছে
 স্থবিরতা, শিথিলতার অঙ্গার
দৃপ্ত সেই গোলাকার আখন্ডে আটকে আছে সুগন্ধির প্রহন আর জপমালা

 আদিগন্ত সে রাস্তার দরাজে
একখানি মাদুর পাতা পেলব 
যেন অপত্য স্নেহের ভেতর দীর্ঘ এক মায়া—
সেই মায়ার ভেতর চন্দনবাড়ি
দেখা যায় নাগরি কোনো বধূর চরণ ছাপ আঁকা

ভালোবেসে যায়
হাতের মধ্য বলাকা ধরে, কপালের ওম ছুঁয়ে 
শান্তি আসে জ্বর ভরা বুকে

কতবার ঘোর ঘোর  মৃদু ডাক শোনা যায়
কটিবনের পাশে তখনও নিবিড় প্রেমের খেলা
কপালের এ বিশাখায় রেখেছিলে অরণ্য সারস
যেন মনে হয় সমগ্র শীতল পর্ণকুটিরে দময়ন্তী ব্রহ্ম রাখা।




শোধিত শাড়ির রূপরেখা
বাকি না বলা কথা মনে এলে তবুও, বলবো ভাবি
দখিন সাগরে লিখে রাখি জারণ পূর্ব মেঘ
অথবা বিন্দু বিন্দু  কথার যজ্ঞাগ্নিসম্ভূত সন্ধ্যা
বর্ষা ভরা নদীর পর 
অতর্কিতে প্রণয়ের ঘোড়া ছুটছে
উড়ছে বহমান 
কতটা তোমার দুঃখের কাছাকাছি
উত্তরের ধারা বেয়ে সেঞ্চন করেছ দুঃখের ব্রয়দারি?

অথচ তোমাদের কথালাপ: মধ্য শাড়ির কুঁচি ঘিরে ওঠে
রাশি রাশি সান্তাল নৃত্যের হরদম মহুয়া, ঠিক হঠাৎ তখনই কেউ যেন নেশাগ্রস্থ
হুঁশ ফেরে তোমার হাতের মিঠে তালুর করতালে
ঘুম ভাঙ্গে বালুচুরি কিনারে
ঘুম ভাঙ্গে ক্রমশ চিতাপ্রেমে
এযাবৎকাল এইতো রহস্য, দেহের অগ্রভাগ লুফে নেওয়া;
ব'লে ফ্যালা ফিরে যাও, ফিরে যাও
আর এসো না, এ বিবিধ ছলাকলার কালপুষ্যে—

শোধিত শাড়ির রূপরেখা ছায়ার মতন নির্জন
গাঁক গাঁক করা দৃঢ় তমসায়, আমার অস্পৃশ্য হাতদুটি ধরে নিয়ে চলো
এ হাহাকার, আমার হাহাকার, শীতলপাটি হাহাকার
অবুঝ সাগ্নিকের প্রতি জঠর আলাপ
আর দ্রুতময়ী সপুষ্পে বহুচরা...
সংগ্রামিত দেহের বিলাপে শোধিত চাওনি দ্যাখো— বলে দেবে অক্লেশ গুলিস্তা...






অবশিষ্ট কথার ভেতর বাহন পড়ে থাকে
নিশুতি রাতের তারা ধরে ক্রমশ বিড়বিড় 
প্রেমের দাঁতে সোনার ভান্ড: খনিজ শান্তি চিরে 
দোল দেয় মেহুল সিতারে। বসতে বলে
 রাখতে বলে মনজীর্ণতার ক্লেশ
সেই তো রূপোলী ছায়ার বেশ—
বেশ - বেস - বেশ

প্রিয় লতার মতন পেরেক পুঁতে দিলে 
অবশিষ্ট কথার ভেতর বাহন পড়ে থাকে
বা হ ন। অ ব শি ষ্ট
উদ্ভ্রান্ত হরিণের মাংসে দাবানল 
                                 বৈঠকী অভিসার
চূড়ামণি স্তনের গঙ্গাজলে 
                কিঙ্কিণী ফুলের সমাহার

গজের ব্যথা, ভোর। সকাল সকাল এ দীর্ঘ পৃথিবীর বন
গুটিয়ে গুটিয়ে বুকের অর্ধেক ছিঁড়ে খেলো। কুশি
ভোমরা গেল যক্ষ্মাবনে
সাক্ষাৎ তোমার যৌবনের কালো সিঁড়ি: বেয়ে উঁকি দেবে ছলাৎ ছল
মায়ামেঘের তিতাস বল্লভ শীলাবতি ঘাট পেরিয়ে যাবে বল...?

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন