১ 
আরও হালকা হয়ে আসে কাপাসবন। আমাদের কাপড় সূক্ষ্ম হয়ে ওড়ে। মেয়েটির হাত থেকে মাটির পুতুল পড়ে গেল। রুদ্রাক্ষ কেঁপে উঠলো তাতেই। জল কাঁপছে। মালা ঘুরছে তার ওপর। তবু কষ্ট হয়। মাগো, আর তো দেখা হবে না। যেন দেখা হওয়া কোনো মানুষ আর তারই হাত থেকে জগতের শীতকাল পড়ে যাচ্ছে। দূর থেকে বরফ জমতে দেখি। আগুনের অনন্তে নিভু নিভু এক দেহ। আসবে নাকি যাবে, সিদ্ধান্তের অতদূর মাটিই নেই। পুড়তে পুড়তে কোথায় পড়ছে পুতুলছায়া? সামান্য নিঃশ্বাস পেলেই যে তুলো বহুদূরে উড়ে যায়, খেলনার নাকে স্থির হয়ে যাবে। 


২ 
শুধুই যজ্ঞ। কেউ চাইনা ছাল। ঘুম থেকে উঠে তাই শীত করে। এখন হেমন্তকাল। শিউলিফুল কি ক্ষমা করেছে পাশের শিউলিফুলকে? কোন পুংকেশর চক্র থেকে শিশির গড়িয়ে এলো এতদূর? পাপড়ির গভীর থেকে কীট শুধু বাইরে আসছে। বারবার এই আসাটাই স্নান করি। একটা দুটো হাজার লক্ষ কোটি জলবিন্দু কেবলই লাফায়। মায়ের দেহ ভিজে যায়। বাবার দেহ ভিজে যায়। সূর্য উঠলে তবেই বরফ বানাই। অল্প দুঃখের ঋণ। শিশিরের ওপর রোদ এল। হাসিকান্নার ভেতরে এল তাপ। যেভাবে ঘুম আসে। উঁচুতে উঠে যাচ্ছে নিঃশ্বাস। এতই ক্ষীণ মায়ের বল্কল, বলতে গেলেই ছিঁড়ে যায়। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন