হয়তো সম্ভব নয়, সম্ভব হলে অতিক্রান্ত অতীত, চারপাশের বর্তমান ও অনাগত ভবিষ্যতের যাঁতাকলে ক্রমাগত পিষে যেতে হত না আমাদের। জন্মের পর থেকে মৃত্যু অবধি যে চিন্তাশক্তি আস্তে আস্তে নিজেকে এবং আমাদেরও নিজের নিয়মে ক্ষয়ের শিকার হিসেবে পেশ করে, তার কবল থেকে বেরিয়ে যেতে অসুবিধা হত না আমাদের। যে স্বতন্ত্র চিন্তার জোরে মানবপ্রজাতি ধীরে ধীরে ক্ষমতার হায়ারার্কির সবচেয়ে উঁচু স্থানে বসে আছে, সেই চিন্তার বিভিন্ন রূপ ক্রমাগত মানুষকে পিষে দিয়েছে নিজ ভারে। আর এই নাছোড়বান্দা পেষণযন্ত্রের যে যে রূপ কখনও আশীর্বাদ হয়ে মুগ্ধ করে আমাদের, কখনও বা অভিশাপ হয়ে নিংড়ে নেয় সহজাত প্রাণশক্তি, তাদের অন্যতম হল স্মৃতি। আপনি, আমি, আমরা এই যে আজ চলাফেরা করছি, বেঁচে আছি, মুগ্ধ হচ্ছি, রাগছি, আনন্দ করছি, কাঁদছি—এই সবকিছুর এক ব্যক্তিগত ইতিহাস আছে। আর এই ইতিহাস রোজ একটু একটু করে বড় হতে থাকে, এমনকি মৃত্যুও এই ক্রমবর্ধমানতার ইতি টানতে পারে না। আর এই ইতিহাসের ভিত্তি হয়ে জেগে থাকে স্মৃতি। আমাদের বন্দিত্বের প্রধান স্থল, প্রধান নিয়ামক, প্রধান ক্ষেত্র শেষ অবধি এই স্মৃতি। 'স্মৃতি' শব্দটির সঙ্গে ক্রমাগত অতীত মিশিয়ে ফেলার এক দীর্ঘকালীন অভ্যাস রয়েছে ঠিকই, কিন্তু একটু তলিয়ে ভাবলে আবিষ্কার করা সম্ভব, এমনকি বর্তমান ও ভবিষ্যৎও স্মৃতির বাইরের কিছু নয়। যে 'দেজ়া ভ্যু'-র কথা আমরা সবাই-ই কম বেশি জানি তথা উপলব্ধি করেছি, তাকে স্মৃতিস্রোতের বাইরে কীভাবে চিহ্নিত করবেন আপনি? জাক দেরিদা ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধ "Mal d'archive" ("Archival Fever")-এ স্মৃতি তথা স্মৃতির ধারণাকে প্রায় conceptual thrust-এর মতো ব্যবহার করছেন। দেরিদা দেখাচ্ছেন কীভাবে Archiving-এর যে চিরকালীন নিয়ম, যা একইসঙ্গে স্মৃতি নির্মাণ ও স্মৃতি ধ্বংসের ধারাবাহিকতা একত্রে ধারণ করে, তার ভিত্তিও স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। আর এই স্মৃতির স্তরবিন্যাস করতে গিয়ে দেরিদা "single people"-এর স্মৃতি এবং "entire people"-এর স্মৃতির তুল্যমূল্য বিচারের পরিসরে পৌঁছাচ্ছেন। এই যে ব্যক্তিগত স্মৃতির পরিসর, এবং তাকে ঘিরেই জেগে ওঠা সমষ্টিগত স্মৃতির পরিসর—এই দুটি পরিসর এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যে, গভীরে ভাবলে ব্যক্তিগত স্মৃতির ক্ষুদ্রতম এককসমূহ এবং সমষ্টিগত স্মৃতির ক্ষুদ্রতম এককগুলি যে আদতে একই, সে ব্যাপারে বিশেষ দ্বন্দ্ব থাকে না। কিন্তু এই যে স্মৃতি বিষয়ে কথা বলার, স্মৃতির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চিহ্নিত করতে গিয়ে অনঙ্গ স্মৃতি আবিষ্কার করার তাড়নায় ক্রমাগত মগ্ন হওয়া, এর ফলাফল হিসাবে আমরা কি শেষ অবধি কিছু বদ্ধ জীব ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারি না?
কেন বদ্ধতার প্রসঙ্গ আসে স্মৃতি, চিন্তা বা সংশ্লিষ্ট জীবনোপকরণের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে? ঠান্ডা মাথায় ভাবুন তো, যে চিন্তাগুলির ভেতর বসবাস করতে করতে আমাদের রোজের জীবন অতিবাহিত হয়, সেই চিন্তাগুলির একটাও যে-কোনও চিন্তাশীল মানুষই বদ্ধতার শিকার, এর কোনও ব্যত্যয় নেই। আমাদের ভাষাব্যবহারই যেখানে দীর্ঘ ইতিহাসের বন্ধনে জড়িত, সেখানে ভাষাপ্রয়োগের দ্বারা আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে এমন কিছু করা বোধহয় সম্ভবই নয়, যাকে বদ্ধতার পরিসরে আনা অসম্ভব। যা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, তার হল এই বদ্ধতার কারণে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা অভ্যাস আমাদের এক অনিন্দ্য সুখের শিকার করে রাখে। নিয়মের নিগড়ে বাঁধা পড়ে যাওয়ার পর তা থেকে বেরনোর চেষ্টা তো দূরস্থান, উল্টে তাকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়ার ধারাবাহিকতা আমাদের চিরকালীন ধর্ম। যারাই এর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সাহস করেছে, তারা অধিকাংশ সময় কঠোরভাবে নিন্দিত, আঘাতে জর্জরিত, মায় নিহত অবধি হয়েছে; পরে বদ্ধতার করাল গ্রাস যখন তাদের ভাবধারার কঙ্কাল ধীরে ধীরে চিবিয়ে গলাধঃকরণ করে নিয়েছে, তখন আবালবৃদ্ধবনিতা তাদের অর্চনা করেছে, মাথায় তুলেছে। কেননা আপাত নতুন কিছু করতে চাওয়া মানুষও একটি কালপর্বের সীমায় আবদ্ধ। সেই কালপর্ব পেরিয়ে গেলে তার আপাত নতুনত্বও অতীতের তকমা এঁটে জেগে থাকে, কখনও বা বিলীন হয়ে যায়। ফলত আজ যাকে মুক্তির চিহ্ন বলে মনে হচ্ছে কাল সেটাই যে বদ্ধতার অভিজ্ঞান হিসাবে চিহ্নিত হবে না, এ কথা জোর দিয়ে বললে ধৃষ্টতা হবে।
তবে কি চিন্তা, স্মৃতি কোনও ভাবেই মুক্তির দিকে এগিয়ে দেয় না? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যে গভীর দার্শনিক বোধের প্রয়োজন, তার ছিটেফোঁটাও নেই আমার। বরং বদ্ধতার সঙ্গে কেন চিন্তা, স্মৃতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সে ব্যাপারে আরও কিছু ব্যক্তিগত ধারণা জ্ঞাপন করতে পারি। পাঠক, 'সঙ্গ' শব্দটি এই প্রসঙ্গে একটু মাথায় রাখুন। জীবদ্দশায় আমরা বিভিন্ন বস্তু, বহু ব্যক্তি, পরিস্থিতি, ঘটনা, এমনকি স্বপ্নের সাথে সঙ্গ করি। এই সঙ্গ করার কারণে আমাদের আইডেন্টিটি, আরও বিস্তারে গেলে এনটিটি, গড়ে ওঠে একটি সামাজিক পরিকাঠামোর ভেতর। আর এই সঙ্গ করতে করতে আমাদের ভেতর মায়া জন্মে যায়। ভোগের মায়ার কথা বলছি না, বরং এই মায়া অনেক বেশি পার্থিব জগতের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু এই সম্পৃক্ত করার পরিণতি কী? গীতায় এর একপ্রকার উত্তর পাওয়া যায়। সাংখ্যযোগের ৬২ ও ৬৩ নং শ্লোকের দিকে, পাঠক, একটু নজর দিন।
ধ্যায়তো বিষয়ান পুংসঃ সঙ্গস্তেষূপজায়তে।
সঙ্গাৎ সঞ্জায়তে কামঃ কামাৎ ক্রোধোঽভিজায়তে।।
ক্রোধাদ্ ভবতি সম্মোহঃ সম্মোহাৎ স্মৃতিবিভ্রমঃ।
স্মৃতিভ্রংশাদ্ বুদ্ধিনাশো বুদ্ধিনাশাৎ প্রণোশ্যতি।।
অনুবাদ: ইন্দ্রিয়ের বিষয়সমূহ সম্পর্কে চিন্তা করতে করতে মানুষের তাতে আসক্তি জন্মায়। আসক্তি থেকে কাম জন্মায়। কাম থেকে ক্রোধ, ক্রোধ থেকে সম্মোহ, সম্মোহ থেকে জন্ম নেয় স্মৃতিবিভ্রম, স্মৃতিবিভ্রম থেকে বুদ্ধিনাশ, আর বুদ্ধিনাশের পরিণতি হয় সর্বনাশ।
এই শ্লোকদ্বয়ের সঙ্গে জড়িত ধর্মীয় অনুষঙ্গ দূরে রেখেও এই ব্যাপারটি শ্লোকদ্বয় থেকে আহরণ করা যায়, যে, ধারাবাহিকভাবে কী পদ্ধতিতে মানুষ বদ্ধতার শিকার হয় ক্রমশ। আসক্তি শব্দটি এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুলে গেলে চলবে না, এমনকি negative attraction-ও শেষমেশ একপ্রকার attraction। যা ভাবতে গেলে আমাদের মনে ঘৃণার, ভয়ের, দুঃখের, কষ্টের উদ্রেক হয়, তার প্রতি আমাদের আসক্তি কি কম? যা আমরা সচেতনভাবে ভুলে যেতে চাই, তার স্মৃতি তো ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। যতই জীবনানন্দ বলুন না কেন "কে, হায়, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!", অন্তরের অন্তঃস্থল খুব ভালো করে জানে বেদনা জাগবে, জেনেও খননকার্য মাঝে মাঝেই শুরু হয়ে যায়, অজান্তেই শুরু হয়ে যায়, আর এর পরিণতি হিসাবে বদ্ধতা অনিবার্য।
অথচ মুক্তির চিন্তা কি কোনও অংশে কম মানুষের? যে জটিলতা, অপমান, অমীমাংসিত জিজ্ঞাসার ভিড়, আত্মদহন, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ঘনচক্কর মানুষকে ক্রমাগত ভেতর ভেতর খেয়ে ফেলে, তা থেকে মুক্তির উপায় কি শতাব্দির পর শতাব্দি খোঁজেনি মানুষ? খুঁজেছে তো। ক্রমাগত খুঁজেছে। সাহিত্যে, চারুকলার বিভিন্ন বিস্তারে, বিজ্ঞানে, দর্শনে, আধ্যাত্মিকতায় ক্রমাগত এই খোঁজ চলেছে। কত কত বছর আগে লেখা হয়েছে উপনিষদ, তাতেও তো এই খোঁজ প্রবলভাবে পরিলক্ষিত হয়। বদ্ধতার ইতিহাস যে একপ্রকার মুক্তিসন্ধানেরও ইতিহাস, তা বোধহয় স্বীকার করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
কিন্তু মুক্তিরও তো অগণন চেহারা, অগণন রূপ, অগণন অবয়ব। যে অবিমিশ্র subjectivity জড়িয়ে আছে মুক্তির ধারণার সঙ্গে, তার শাখাপ্রশাখা অজস্র দিকে বিস্তৃত। মুক্তি কখনও freedom, কখনও faith, কখনও salvation, কখনও redemption, কখনও বা transcendence। কার কাছে মুক্তি কী রূপে ধরা দেবে, তা মূলত নির্ভর করছে কে কীভাবে মুক্তি পেতে চায় তার ওপর। কেউ হয়তো স্রেফ মুক্তি পেতে চাইছে তার একঘেয়ে দিনাতিপাত থেকে; সেই যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, "সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় মৃত্যুর/ ভেতরে সেঁধিয়ে যাওয়া শ্রেণীবদ্ধভাবে—/ এভাবে কি দিন যাবে? এভাবে কি যাবে?" কেউ হয়তো এই দিনাতিপাত থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। কেউ হয়তো তীব্র অপমান সহ্য করার ধারাবাহিকতা থেকে মুক্তি পেতে চাইছে ভালোবাসার ভেতর। সেই ভালোবাসা শরীরী হতে পারে, হতে পারে সম্পূর্ণ মানসিক। আবার কেউ হয়তো দিনের শেষে নিজেকে, অথবা ভোরবেলা, একেবারে একাকী সাদা পৃষ্ঠায় মন নিবদ্ধ করতে করতে নিজেকে বোঝাচ্ছে, "তা হ'লে উজ্জ্বলতর করো দীপ, মায়াবী টেবিলে/ সংকীর্ণ আলোর চক্রে মগ্ন হও," (বুদ্ধদেব বসু quote করার লোভ সামলানো গেল না) আর লেখার চেষ্টা করছে কিছু শব্দ, কিছু পংক্তি, যা তাকে তার মতো করে পৌঁছে দিতে পারে মুক্তির কাছে। আবার কারও কাছে মুক্তি হয়তো সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক এক যাত্রা, যেখানে ত্যাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলত, মুক্তিকে একবগ্গাভাবে define করার স্পর্ধা দেখাব না। বরং, একটু রহস্যময় হাসি হেসে এই কথাটুকু উত্থাপন করি, মুক্তির চিন্তা, মুক্তি achieve করার চেষ্টাও ঠেলে দিতে পারে এক অদ্ভুত বদ্ধতার দিকে। মুক্তির উপস্থিতি আছে ধরে নিলে তাকে আয়ত্ত করার মোহ যেমন অমূলক নয়, তেমনই মুক্তিকে অনস্তিত্ব মেনে নিলে দিশেহারা হওয়ার সম্ভাবনা বিপুল। আর এই দুই মতের টানাপোড়েনে "The man of anxiety, to his misfortune, remains between them, trembling and perplexed, ...incapable of gaining a foothold in the security of being or in the absence of being" (Emil Cioran, The Trouble with Being Born)। মুক্তির বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে বলেছি আগেই, এর সঙ্গে এই সংযোজনও থাক, যে, মুক্তি বিষয়ক ধারণা আগে থেকেই নির্ধারিত করে রেখে তাকে আয়ত্ত করার চেষ্টা আসলে চিন্তার সীমাবদ্ধতাকেই প্রশ্রয় দেয়, অর্থাৎ, ঘুরেফিরে বদ্ধতাকেই প্রশ্রয় দেয়। মুক্তির আলেয়া শেষমেশ বদ্ধতার চেহারা প্রকট করে দিয়ে বিলীন হয়ে যায়, পড়ে থাকে মুক্তি বিষয়ক ভ্রান্ত ধারণার কঙ্কাল। এই কারণেই হয়তো গীতায় ক্রমাগত নিষ্কাম কর্মের কথা বলা হয়েছে, কারণ মুক্তির ধারণার প্রতি আসক্তি জন্মালে, মুক্তিকে ঘিরে কামের উদ্রেক ঘটলে, তার পরিণতিও যে আদতে বদ্ধতাই, তা বলাই বাহুল্য।
শেষ অবধি এটুকু স্বীকার করি, মুক্তির ধারণা নিয়ে আমরা যে যার মতো বসে আছি বদ্ধতার পাতালে। মুক্তি লালন কথিত 'অচিন পাখি', কখনও আসে, কখনও যায় নিজের খেয়ালে। 'মনবেড়ি' তাকে বাঁধতে পারে না, কারণ সে অধরা। কখনও কখনও মনে হয়, হয়তো নিষ্কাম সমর্পণ ছাড়া তাকে পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু 'নিষ্কাম' অবস্থাই বা কী! কে জানে সেই রহস্য? এই প্রশ্নের সম্মুখে দাঁড়িয়ে স্রেফ অখণ্ড নীরবতা গ্রাস করে আমায়। কামনাই যেখানে জীবনের উৎস, সেখানে কামনা অতিক্রম করা সম্ভব আদৌ? বরং যতবার এহেন জিজ্ঞাসা ঘিরে ধরে আশিরনখ, ততবার টের পাই, কেউ স্থির, সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে আমারই দিকে। সে আমার থেকে একবর্ণ আলাদা নয়, আবার তার সাথে অমিলেরও অন্ত নেই। যেন সে আমার সর্বস্ব জানে, আমিও তার, অথচ দু'জনেই দু'জনার কাছে আদ্যোপান্ত অচেনা। এ-ই কি তবে "আর দুই মুগ্ধ অন্তর্যামী—/ আমি, আর মুখোমুখি আমি"-র আজীবনের খেলা? এই খেলারই বা শেষ কোথায়? মুক্তি কোথায়। উত্তর নেই, বরং Cioran-এর একটি aphorism দিয়ে এই আলোচনার ইতি টানি। মুক্তি বিষয়ক এই আপ্তবাক্য আমার পড়া সবচেয়ে সহজ এবং একইসাথে সবচেয়ে দুরূহ কথা।
"I long to be free—desparately free. Free as the stillborn are free."
দুরূহের ভেতর সহজের দ্যুতির খোঁজও হয়তো বা একপ্রকার মুক্তি। কিন্তু, শেষ অবধি, খোঁজে ক'জন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন