উন্মুক্ত ছিল অর্গল। প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও সে বসেছিল দ্বারে। চুপ!
চোখে তার কৌতূহল। কিন্তু রা-নেই মুখে। সেই কৌতূহলী চোখ যেন এক বিস্ময় পাখি। উড়ছে শূন্যে।
বললাম, আপনি তো মুক্ত পুরুষ। সেই শব্দবন্ধ সংলাপ হতে না-হতেই জুটে গেল উত্তর। একদলা থু। থুতুর বিস্বাদ কি ভাষায় লেখা যায়? যায় না।
সংশয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বললাম,
তবে এই যাপনের অর্থ কী? শুনেছি মুক্তিই চরম লক্ষ্য।
মুহূর্তে এক অট্টহাসি! সেই হাসিতে গড়িয়ে যাচ্ছে কিছু বোল্ডার! কালো পাথর!
পাথরের ঠোকাঠুকি আর গড়াগড়ি যেন চিৎকার করছে। কখনও হুঙ্কারের মতো শোনাচ্ছে! ভ্রম ভেবে দাঁড়িয়ে আছি আমি। নিশ্চল। ঠিক তখনই মনে হল হুঙ্কার আর স্লোগান যেন খুব কাছাকাছি হাঁটছে! খুব পাশাপাশি! যেন ওরা খুব নিকট-আত্মীয়! আর সেখান থেকেই ভেসে আসছে কিছু কথা -
মুক্তি মানে পলায়ন। মুক্তি মানে লোভ। মুক্তি মানে বিস্মৃতি। মুক্তি মানে একাকিত্ব। মুক্তি মানে স্বার্থপরতা। মুক্তি মানে বিসর্জন। আবার মুক্তি মানে...
তবে আপনি কি তা-ই চান? কী আছে ওই যাপন শেষে?
—বন্ধন।
—এ যে বিস্ময়! তবে কি বন্ধনেই মুক্তি?!
—নাহ্। সে অর্থে এ এক অনুভূতি। সে এক উত্তরণ।
শূন্যে হাত বাড়াও। দ্যাখো, প্রত্যাশা নেই। যাপন আছে। সেই প্রত্যাশাহীন শূন্যে নিজেকে খুঁজে পেলেই— তুমি মুক্ত পুরুষ। মুক্ত মানুষ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন