দেবযানী বসুর কবিতা






আলোখেলা

আলোর ব্যাভিচার হ্যারিকেনের পুংলিঙ্গ রঙিন করে তুলছে। কাঁচকলার মালার প্রক্রিয়ায় জন্ডিস জন্ডিস শাস্তির আইন বিলোপ পাচ্ছে। বাজারে নতুন হ্যারিকেন কারা পেল, কটা করে তা সৌরজগতের বিস্ময়। আমাদের চওড়া কপাল দ্যাখো প্রতিপ্রভা তৈরি করে তোমাদেরকে দেখছে। বলে কয়ে অদৃশ্য হবার মধ্যে সেই চ্যালেঞ্জ... জিভ থেকে যাবতীয় পথ বেরিয়ে তোমাদের রাস্তা লালাময় করে। সূর্যের আলোর কাছে কেরোসিন তেল রেসপিরেটরি সিস্টেম ধার নেয়। কম্বলঢাকা দারিদ্র অদৃশ্য থাকা অভ্যেসে এনেছে। দেহি দেহি মন্ত্রে গমগমে চরাচর। জাল গুটিয়ে মহাকাশে ফেলে দেখেছি ভিখারি আমাদের শেষ পরিচয়। পাখিদের ভঙ্গুর কাচের ডানা মানুষেরও। মানুষ ভঙ্গুর পূর্ণাঙ্গ মডেলে।






ফুলখেলা

আমাকে কোথায় পাবে আর। এ আই সব স্বপ্নের উপর অধিকার বজায় রাখছে। কয়েকটি বাঁধা গৎ এর পথ। ঐ সব পথে উত্তরের গাছপালারা শাল জড়িয়ে আছে। তিল্লানা দিলে না লেখার শরীরে। এই পাপে বিচ্ছেদ এল । শরীরপিঞ্জর। টিলাবক্ষের পুরুষ, রোমশ গাছগাছড়ার নিষাদরাজ। আছি মানেই সময় অতিথি এখন। ঘটনার পাশে প্রাসাদ আর দুর্গ তুড়ি  দিয়ে লাফায়। দুর্গের বাতাস সঙ্গীত উপহার দেয়। এসেছি আবার রক্ত ঝরিয়ে যদি নিজের শরীর ফিরে পাই। যোনীকপালী নারী বলে প্রিয়তমাসু চিঠি দরজার পিছনে অক্ষত রাখি। একরোখামির বোকামি শ্রেষ্ঠ তাতে সারাজীবন পবিত্র কুমারিত্বের সৌরভ মাখা। রঙের পরতের উপর পরত কিভাবে রঙচোর অক্টোপাস বানাল আমাকে অহেতুক অকার ওকার আর রিফলার নিচে চাপা পড়ে আছি।





পুতুলখেলা

লাইক ঝরিয়েছি নো ম্যানস জমিতে। এখানেই কেউ পালক কেউ লোহার বল। মাত্র এক রাং তফাতে সম উচ্চতা। অবিরাম অশ্রু নদী কবিদের। তাতে ভেসে যাচ্ছে মানপত্রের মান্দাস। সূর্যের কপালে সোয়েটের টিপ দিয়ে সন্ধ্যা মিতালী করে। দুয়েক পা চললে পলাশতোরণ। কবেকার মিথ্যে গল্প বলা ফুলেরা নৈঃশব্দের দেশে গেছে। ভুলে যাওয়া ভারি হয়ে উঠছে ভুলের পরত পড়ে। গ্রাম্য নদীর বালি খুঁড়লে নাবালিকার ফোঁপানি উঠে আসছে। পয়ারমন্থর পায়ে বালি কাঁকর ফোটে সহজেই। আমাদের উদ্দেশ্য থেকে খসে পড়েছে তালপাখা মাটির কলসি। অজান্তেই শহরের প্রজাপতিরা খেপলা জালে ধরেছে মফস্বলের দ্বিবচনকে। একটা গোটা ক্রো ম্যাগনন সময় ও সমাজ আমাদের প্রেম নিয়ে জ্যাক ইন দি বক্স খেলেছে।





নিধুখেলা

বাংলার টাকা আজ ডলার  জাদু বাস্তবতা গিলে। মাছরাঙাদের সংসারে এক সকালবেলায় ঢুকে পড়েছিলাম। তাদের শিকার পদ্ধতিতে আমাদের সংসারের রঙ লেগে গেল। শেষ হল অসংখ্য বালিরেত এঁকে এঁকে ঘিলুর ডিজাইনে। তাই  স্মৃতির প্যারাডাইম শিফ্ট। নেটের ভিতরে নেট পেতে ঢি দিয়ে বসি। স্বপ্নই খলনায়ক। প্রেমিককে দাদাভাই ডাকিয়ে ছেড়েছে। নেপথ্যের সাইকেল মঞ্চে উঠে আসে। আর নেমে যায় ঝাঁকি দিয়ে আদাড়ে পাদাড়ে। সাইকেলের চাকায় নিষিদ্ধ মলম লাগাই। হায়নার বায়না অনেক। ঐ সময়ে ল্যাংড়া পায়েতেই জোর বেড়ে যায়। ক্যারমের লাল ঘুঁটি নঞর্থক ভেবেছে নিজেকে। সাংঘাতিক কিছু প্রেম করা না প্রেমের কবিতা লেখা কোনটা জরুরি বয়স্কদের আড্ডায় মরা জন্তুর মতো কাঁদছে।  

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন