জয়শীলা গুহ বাগচীর কবিতা 






দিনকাল

আমাদের কি কোন রাস্তা ছিল?
নাকি গল্প বলিয়ের দল বলেছিল
 পা আর চোখ না থাকলেও চলে,
হাঁটার সময়
কেউ কেউ রাস্তার ছবি এঁকেছিল
সেই ছবিতে জুতো মোজা জামাকাপড় থাকলেও
মানুষ ছিল না
কোন কোন গল্প জুড়ে 
শুধুই সম্ভাবনার বেড়াল
যার চারটি মাথা
অগুন্তি চোখ আর গোঁফ
জানলেও কিছু নয়, না জানলেও
গল্পের সীমান্ত জুড়ে রুই কাতলার সমীকরণ
ছোট মাছের অধিকার সংক্রান্ত স্লোগান টোগান
কিন্তু গল্প বলিয়েরা  
রেখে গেল বাজারের ছায়া, চোরা টান
ছদ্মবেশী প্রতারণা





যাত্রা

কোথায় কীভাবে যাওয়া যায়
একটি চোখের বাতাস ভেঙে
 আর একটি চোখ অথবা
লোকাচারের কাঁসর ঘণ্টা থেকে
একটি নির্দোষ অসামান্য আগুনের দিকে
 কীভাবে যাওয়া যায়
শরীরের ঝড় বাদল নদী
আজন্ম ভয়ের ভেতর…
ভয়ের সীমানা জুড়ে
আমি গলে পড়ি 
যেতে যেতে মন্তব্যবিহীন
কাতর দিনান্ত হে
কীভাবে যাওয়া যায়
নিজের সামান্য অঙ্কে
শরীর জোড়া ভয়ের গন্ধে
ভয়ের উদযাপনে…






সান্ত্বনা

সকালের পেখমের রঙে
থোকা থোকা পাখির ডাক
ফুটে আছে
এক পা এগোলে তুমি
তোমার ঘনঘোর উপুর
এক পা পেছোলে 
তোমার কাত হয়ে থাকা নীল
লালের ভেতর নীলের ভেতর
ক্যাটস আইয়ের ভেতর
অনিশ্চিত সকাল জুড়ে
কোথাও কোথাও আনন্দফল খসে পড়ছে
উড়ে যাচ্ছে পাখির কাছে
এবার চুপ কর
সকালের আলো ফেটে সকাল নামছে
শুধু পাখি নাও হে জীবন
পাখি নাও






নির্বাণ

বেশি বাকি নেই
ওই তো মেঘ থেকে আমোদ নামছে
চারপাশে থৈ থৈ কথাবার্তা
ধ্বনিটুকু তুলে নাও
জারুলের বাঁশি বাজলেই
পিঁপড়েরা অফ করে দেবে কানেকশন
এই সামান্য আয়োজন
গুঁড়ো গুঁড়ো মনোরঞ্জন
আশা স্বপ্নের ডালিম্ফুল
ফেলে আসা সাইকেল… লাল ব্যাগ …বাতাস…
টিং টিং করে বেল বাজছে ভয়ের ভেতর
সন্ধের রক্ত চলাচলে
চামড়ার যাতায়াত শেষ হয়ে এল
নিরাকার আনন্দ বাজছে…
মোহন কৈশোর … 


--জয়শীলা গুহ বাগচী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন