সোনালী চক্রবর্তীর কবিতা
স্মৃতি
মোহিনী নাগপথের মেঘ রোদ্দুরে ভাসে শেষ থেকে অনন্তে পৌঁছানোর চন্দ্রহাঁসখানি, লীলার তাড়নায় ঈশ্বরী বিস্মৃত থাকেন চারুব্রহ্ম সান্দ্র বিষাদমায়ায়। ছুঁতে আসা চুম্বনসমুদয়ে গাঢ় হতে থাকে অর্ধদগ্ধ দ্বিধা আর সিদ্ধান্ত ঘনায় রূহ এমন কঠিন শব্দ, ভেদ না হলে যে কোনো চামড়া বল্কল হয়ে যায়। তবুও নিয়তি, এক পদ্মরাগ বড় চেনা, কূটস্থে ফেরায়। আর কে না জানে, লৌকিকতা মূলত সেই আশ্চর্য নক্ষত্রলোক যেখানে জন্মদাগ খুঁজতে গিয়ে যন্ত্রণা হাতড়াতে হয়, প্রস্তর অথবা পারাবত ভূমিকায়।
টুকলি
ভাবছিলাম কাহলোর রুজ মুছে টুকটুকে করে নেবো আমারও ব্যালেরিনা, আয়নার পারা চিরে স্কন্ধকাটা কবিকূলের উল্লাস ছিটকে এলো, চামড়ার রঙ প্রেত ও পিশাচের তফাত বুঝতে দিলো না।
অমাবস্যা
চাঁদে খরা এলে বৃক্ষ শরীরে মেঘ জমে, নেশাতুর হরিণী যেমত তারারন্ধ্র স্থির ও উদাস রেখে বিশালতায়, আমি জলজ মুর্শিদে সাঁতার মুছতে মুছতে দেখি অবাক আলোয় ফিকে হচ্ছে উট আর পারাবতের সংসার। এস্রাজে গর্জরী বাজলে আজও চন্দ্রাতপ বেয়ে রুবাই নামে ধীরে। বোবা পাখির চোখে বাঁশি ঢেলে বলি, পদ্মযোগী, কেন কুড়াচ্ছ সর্পমধু, তুমি তো কাছিমের প্রতিবিপ্লবী ছিলে, নাভিকাটা উষায় এভাবে হেরে গেলে?
এলিক্সির
প্রাণ? শ্রাবণঘাতী রোদের শ্বাস ভাঙতে ভাঙতে যাবতীয় হ্রেষার একদিন পলি হয়ে যাওয়া। প্রকৃতি? ব্রহ্মবিদের কঙ্কাল যেভাবে দেখে শুকনো বাঘ হয়ে ছায়া চেটে নিচ্ছে অনন্ত আঁধার। প্রতীক্ষা? সেই আশ্চর্য আলাদিন যে কুম্ভ ভেঙে এনে দেয় ঈশ্বরের মুক্তি।
কী আর বলি মাধব, এভাবে কেন যে একাকার করো লবণ আর মাধুকরি, নিলাজ বৈষ্ণব জলে নিথর ভেসে যায় আমার ঋষ্যমূক পিরিতির দাস্তানগুলি...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন