শীলা বিশ্বাসের কবিতা
আঙুলের ডলফিন
১
এলোমেলো হই মনে। চাদরের ভাঁজে; বইয়ের তাকে। ক্লেদ ঢেলে ঘরদোর ধুইয়ে রাখি। সে দৃশ্যে কড়া নাড়ে আমির অপর। জল ভাঙতে ভাঙতে নদীও হাক্লান্ত। কুয়াশার গল্পে উঠে বসো। আলো কেঁপে গেলে জলে ছায়া পড়ে। সূর্যকে কাছে মনে হয়।
ময়ুরের চোখ অন্ধ করে চলে গেছে যে রোদ সে আমার কৃষ্ণ সখা
২
গুছিয়ে রাখা সহজ নয়! গুছিয়ে রাখার ছলে নিজেকে হত্যা করি। কোলাহল ডিঙিয়ে যে ডাক দূরপথে হারিয়ে যায়, যে গানে চিড় খায় তাল। তাকে উপাচারে রাখো। লাল সুতো বেঁধে রাখা গাছে পাখি হয়ে খুঁটে নাও মানস। স্তব্ধতার পালক খসিয়ে নেমে আসো পাথরে।
পাথর আর জলের সম্পর্কে তৃষ্ণা হয়ে থেকে যাও চোখে
৩
সাঁতলান প্রেম থাক এতটুকু প্রচ্ছদ নীলে। যদি লেগে থাকে দাগ ক্ষয়ের বাদামী আবেশে, যদি মুছে যায় মুখ বোতামের লুকানো সাজঘরে । জমানো গাছকথার পাখি ডাকে শুনে দেখো আমার নাম। যেভাবে খুঁজেছ অক্ষে অক্ষে দ্রাঘিমা ভূগোলে, উজিয়ে আসা পথে, চিরহরিতের দেশে; আলো রেখা বরাবর চলে যেও পাতার গভীরে, দূরে ওই যেখানে প্রদীপ জ্বলে প্রবালের বুকে।
মাছের পাহারা থেকে তুলে রেখো স্নায়ুর রক্তদাগ, চুর চুর হৃদয় ভস্ম
৪
দূরে শোনো জাহাজের সংকেত । সমুদ্র জানে না ভেজা বালির গায়ে লেগে থাকা শ্রমের কারুকাজ। তবু বুক পেতে দেয় । সম্পর্কের পললে লতিয়ে আসে ঢেউ। ভেঙে যাবে জেনেও মেঘ ফেলে আসে ঘুম। শূন্যে হেঁটে যায় নিভৃতি।
কথার জালিকা নিয়ে ভেসে ওঠে আঙুলের ডলফিন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন