ইহিতা এরিনের কবিতা 







হাওয়াফুলের ঠোঁটোগ্রাফ


বহুগামী গাছের  ক্যাকোফোনি

               হঠাৎ
    যেন বৃষ্টির বিগলিত ক্যাওয়াস

দূরে ভবঘুরে হাওয়াফুলের ঠোঁটোগ্রাফ 
কিঞ্চিৎ কেঁপে ওঠে রাস্তার স্বরলিপি 

   গাছের সৎকার হয়  মিস্ত্রি পাড়ায়

মরা গাছে ফুল ফোটায় বৈবাহিক রাত/ ফুল কি ফোটাতে পারে বৈবাহিক রাত!






স্বপ্নগুণ কিংবা সুরব্যাঞ্জন 


   এমন পাত শেষে বেজে ওঠ বে(শরম)  
                           সা রে গা মা... শরীর। তরল। মৃদঙ্গ
সুরের সমষ্টি  নিয়ে আরো আরো দীপক।

একসাথে পোড়ো
পোড়াও—শেষতক জ্বলে ওঠো এলিডি বাল্ব
দৃশ্যত অধিক বাঁশির ছিদ্রপথ 
এক একটা যোনি অথবা তার নিকট প্রতীক

ফু ও ফুৎকার
      পৃথিবীর চোখে ঘুম              নামুক, নেমে আসুক
                 কোন কারণে উহা স্বপ্নগুণ নইবেক!






মিথ ও সিসিফাস

এবং স্বশব্দ ...

 ডানা ঝাপটাও
 আঁকো উড়াল...
উড়তে জানলেই সব পাহাড় পেরোনো যায় না

কোনো কোনো সম্পর্ক ,
মায়া একটি মিথ
সুতরাং সাঁতার না শিখে পেরোনো যায় না মায়ানদী

দাঁড়াও
 থামতে জানো না বলে
 নিজেকে অতিক্রম করতে পারো নি

অস্থিডানায় শ্যাওলা
পিছলঘাটে মাছের জননকালীন ব্যথা
 গুটাও জাল, বাড়তে দাও 
রজঃস্বলা মাছও পৃথিবীকে শেখায় 
ব্যথার উপাচার আসলে সুন্দরের উত্তরাধিকার






ছায়া কুয়াশার ছবিগুলো

যে ধ্বনি ঝুলছে আমার জুতো থেকে , 
নিপুণভাবে শুনছি তার মৃত্যু-শব্দ

ঝুলছে স্ফটিক 
 রঞ্জিত এক দুষ্ট ছায়া
এভাবেই অতিক্রম করছি সমস্ত আয়তন

 এক বালিকার পথে,
প্রসবাগারে দাঁড়িয়ে তুলে ধরলে  কাঁধ
সত্যি বলছি, কেউ নেই কারোর জন্য অপেক্ষায় 

 অতঃপর নমনীয়
 কুয়াশা আর ভাসা ভাসা কণিকার অবয়ব 

 তারপর স্বপ্ন এবং 
বেজে ওঠা 
যে ধ্বনির ব্যথা টের পেয়েছে যান্ত্রিক  টেলিফোন
তার অরব মৃত্যুর পরও জেগে থাকে অনাঘ্রাত ব্রহ্ম ۔۔۔۔

কেবল পরম্পরায় সেই সীমা ও۔ শব্দের অনতিসজ্জা 
দেখেও দেখিনি

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন