রাখী সরদারের কবিতা
দূরত্ব
ভেতরে দূরত্ব জন্মাচ্ছে;দূরত্বের ভয়ে তুমি সন্তর্পণে
হাঁটছো
সরে যাচ্ছে পথ,
সরে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, চেনা গ্রাম
রাত রাত পিয়ানো বাজাও। দু'চোখে
বালক চাহনি– ভাবখানা এমন
যেন কিচ্ছুটি হয়নি!
অথচ দূরত্ব আর তুমি
কী ভীষণ পাশাপাশি! কাছাকাছি!
জঙ্গল
সূর্য ডুবছেআর এই শহরে
একটি ঘোড়া ডেকে আনছে
কাঠবাদাম জঙ্গল;কেউ একজন
টিলার উপর থেকে টেনে ধরছে
ঘোড়ার লাগাম
অথচ শহরের প্রতিটি বাড়ি
উচ্চকিত হ্রেষারবে হয়ে উঠছে
রাতজাগা দীর্ঘ গাছ!
অনন্ত বিল
অনন্ত বিলে ফুটেছে একটি পদ্মযেন শান্ত জলাশয় ঘিরে
সুবাসিত প্রেরণা
পুকুর ঘাট হতে দেখি অর্ধেক মেঘ
স্নান করছে কিশোরীদের সঙ্গে
বাকি অর্ধেক মেঘ পদ্মবনে লুকিয়ে।
জলের বুকে অচিন সব মৎস্য
প্রতিবিম্ব ঘাই মারছে
পৃথিবীর আলো কমে এলে সমগ্র
কোলাহল যার যার ঘরে ফিরে যায়
ভারি অন্ধকারে মনমরা কমলটিকে
দেখে ছুটে আসে পদ্ম কেউটে,
রাতভোর কত দংশনগাথা শোনায়...
সকালে স্নানঘাটে খুব হৈচৈ
পদ্মফুলের নীল দেহভার মুচড়ে
ভাসে অনন্ত বিলের মাঝে।
মোহপাথর
মনখারাপের ভেতরঘুরপাক খেতে খেতে
আমি যখন নুড়িপাথর–
শরীরে মাখছি ধুলো, ঝড়,বৃষ্টি
তুমি তখন মোহে ফিরছ
পকেটে মাটি লুকিয়ে
চুম্বন করছ শস্যের শরীর!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন