সায়ন্তনী হোড়ের কবিতা
ক্ষয়
শালুকের মতো ভেসে ওঠে আত্মক্ষয়ের লিপিআরো কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসি ধুলোমাখা ফুলের কাছে
চৈতন্য ফিরে আসে হঠাৎ হঠাৎ
আয়ুরেখা স্তব্ধ হয়ে থাকে
নির্ভেজাল আলোর মতো
কিছুটা মুক্তি অথবা রংচটা পান্ডুলিপির দাগ খসে পড়ে অস্তরাগের ভ্রুণে
শিহরিত মনের নৌকা ডুবে যায় এক গভীর অনিশ্চয়তায় ...
অনুভূতির মরীচিকা
প্রত্যাখানের আলো ছুঁয়ে থাকার আচ্ছন্নতা এখনও আমাকে শব্দ জোগাড় করে দেয়,খোলসহীন শামুকের মতো আরো গুটিয়ে আসে অনুভূতির কোলাজ
বিদগ্ধ চিঠির উত্তর = অপেক্ষা
অসহায় জলবিন্দুর প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসে দিনযাপনের শ্লোক
ম্লান
বাকি থাকা কথোপকথনের জোনাকির কাছে ঋণ রয়ে যায়,সুসিদ্ধ নিয়মের ভিড়ে হারিয়ে গ্যাছে সম্পর্কের রূপকাঠি
পিঁপড়ের দলবেঁধে হেঁটে যাওয়া এক প্রাচীন দূরবর্তী শিকড় ধরে থাকার গান শোনায়
জীবিত নখের উল্লাস ক্ষীণ হয়ে আসে ক্রমশ
মরীচিকার জাল বোনা ঘরে হারিয়ে যাওয়া এক প্রিয় ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে
গলায় পেঁচিয়ে আসে পূর্বজন্মের সুতো
সিঁড়িতে অথৈ রাগ-রাগিনীর সমাবেশ
তবুও নৈঃশব্দ্যের হ্যারিকেন জ্বালিয়ে রাখি ডাইরির ভাঁজে ।
সংগোপন
শুকিয়ে যাওয়া চামড়ার মতো উঠে আসে ক্ষত আর কথাযাপনের ইতিহাসমাঠের প্রান্তে ভেসে ওঠে কচুরিপানার সজ্জা সেখানে জমে ওঠে রঙের আদরখেলা
দূরে থেকেও সংগোপনে রয়ে যাওয়ার চিহ্ন
অস্থিরতার স্মৃতিজল আলোড়িত হয় শিরায় শিরায় ...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন