নীলিমা দেবের কবিতা 





অনুগমন  

চাঁদে চুবিয়ে রাখা সাইকেল 
নির্জন কোনো সাদায় গতির অতিরিক্ত  
অর্ধেক চাকার পর বোরখার ভেতর রাস্তা  
পা সমেত ঋণাত্মক      
হাল্কা করি সময় 
ক্রমহ্রাসমান ঘোড়ায় অভ্যস্ত বিজন আহিস্তা আহিস্তা  
কিংবা শূন্য অভিমুখে দ্রুত 
ব্ল্যাকহোল থেকে লাফিয়ে পড়া কোনো দৃশ্যাতীত আগুন  
এই আছে এই নেই 
সাইকেলের ভেতর জ্বালিয়ে রাখি উনুন 
ননস্টপ 
  রাস্তার বেসিক না হয় খামচে ধরবে কোনো বিধবা রসোই……     





বাগেশ্রী 

একটা পাখির হওয়া থেকে হাওয়া পাংচার করি  
পালতু ছায়ায় দুলতে দুলতে নোনাটিক ছায়ানট
  বন্দিশে লুকিয়ে রাখে মেঘের ফোবিয়া  
পাখির পাশে উবু আকাশ ততক্ষণ হর্ন দিচ্ছে বোতামে   
না রাত ওঠেনি এখনো … 
তফাৎ দিয়ে গুণ করি নীলিমা   
চাঁদবদলের নীলে মেঘেরা কীভাবে গার্ড করে যায় বৃন্দাবন   
চারঅক্ষর অন্ধকার হাত নাড়তে নাড়তে আউট 

যেভাবে পাখির যৌথে কোনো থিম থাকতে নেই   
 নীল টপকে জলকালীন  নি সা গা মা ধা নি সা 

ইয়ে হবা লে হবা’য় শেষপর্যন্ত রাত সালামত্  রাখে পাখি      





ক্রসিং 

দরজাটা এতক্ষণ খোলাই ছিল 
প্যারালালে  ভ্রম
ঘরের ঘোরে ঘর সওদা করে ছল     
আশ্রয় থেকে নির্ভেজাল দূরে সেইসব শকুন্তলাময়  
আপোষ করতে শেখেনি সেরকম 
ঘরের বাইরে জমানো ভিউ রিভিও করছে পুব   
এবারে সংযম করি অভিষিক্ত লণ্ঠন 
আবেগসূত্রে মালিনী বেয়ে আসা গোপন    
ফেরী করে যায় জাংশন 

এসো আপন করে নিই সেতু  
দরজারা কেন যে সংসারী হয় … 






ফ্ল্যাশব্যাক

 সংঘাতের পাশে দাঁড়াই  
কবেকার হাত বিনিময় করবে সূর্যাস্ত 
হয়তো মুচড়ে ফেলবে জার্নি 
 অসম্ভব কোন সংকেতে নামিয়ে রাখা আষাঢ় 
 খোলা নৌকোর মত 
জীবনানন্দীয় … 
সূর্য নড়াচড়ার শব্দ  
ঘুঙ্ঘটে ভিড়িয়ে দেয় স্বীকৃতি 

কোনো শুরুর দিকে ফিরিয়ে আনা অন্ধকার  
যতটা কাচের ততটাই তো 
স 
ম্ভা 
না ………  




  
 


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন