পূর্ববঙ্গ
দাদা গ্রাম মেখে আসতেন। শীতের নরম
রোদের সকালবেলা। সঙ্গে অনেককিছু।
মউয়া আলু আর ঝোলা গুড়ের কথা এখনও
মনে পড়ে। দুনিয়ার সুস্বাদু খাবার। দাদাকে
দেখে মনে হতো সিজদাহরত ধানের শীষ, পাশে
থেকে আমরা ঘ্রাণ নিতাম। পূর্ববঙ্গের ঘ্রাণ।
চুমু
আমাদের এক কবি ও পন্ডিত তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, গরিবেরা চুমু খেতে জানেনা। অথচ গরিবের চুমু হচ্ছে আল্লার নিয়ামত। শ্রমজীবি
গরিব নরনারীর চাহিদা বলতে ঘরে ফিরে চুমু।
ধনীদের একটাই চাহিদা পুঁজি।
বাপ
জন্মদাতাই শুধু বাপ হয়না। যাদের ট্যাক্সের
পয়সায় তোমার ডিগ্রী, তোমার চাকুরি,বেতন;
তারাও তোমার বাপ।
তাদের দিকে চোখ নামিয়ে কথা বলো।
আবুল
আবুল হোসেন দৌড়ের উপ্রে, তবু সামলাতে
পারছেনা। দৌড়াতে দৌড়াতে সে এখন মধ্যবিত্ত
থেকে নিম্নবিত্তে পৌঁছে গেছে। আবুল হোসেনের
নামের একটা অংশ খসে পরে আবুল হয়ে যায়।
আবুল দৌড়াচ্ছে। দৌড়াতে দৌড়াতে আবুল
পড়ে যায়। একদিন তাঁর পার্টি আবুলকে দেখতে
আসে। প্রগতিবাদীরা তাঁকে দেখে আফসোস করে।
কেউ কেউ স্মৃতিচারণ করে বলে, এ বাড়ি ছিলো কমরেডদের আশ্রয়কেন্দ্র। আবুল এসবের কিছুই
মনে করতে পারলোনা। সে এখন স্মৃতিভ্রংশ একজন সর্বহারা। এবছরের স্ক্রুটিনি থেকে পার্টিসদস্য পদ হারালেন আবুল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন