সব শেষে
গভীর রাত। নিঃশ্বাস আটকে গিয়েছিল চুম্বনের লালায়।
মুখকামী আমরা আয়না দেখিনি কখনও
প্রতিবিম্বে ভেসে উঠেছিল আমাদের নির্লজ্জ পশ্চাৎদেশ
রাতের কুকুর দেখেছে তা, লজ্জায়
কুকুরীর দিকে অনিচ্ছুক ফিরিয়েছে মুখ
যে চুমু বত্রিশ দিনে খিদে হয়ে যায়
তার বিষে মতিচ্ছন্ন পরবর্তী স্বভাবস্খলন
চেরা জিভে কতবার খেয়েছে ব্রহ্মান্ড, অগ্নিস্তোত্রে
কতবার কত অশ্রু সাপের বিষের মত মিশে গেছে
উপদ্রুত দ্বিচারী জঙ্গলে। প্রতারিত মুখ আজ
ঢেকে-নিই উজ্জ্বল মুখোশে
আমাদের ঠোঁট থেকে বাষ্প ঝরে,
সে বাষ্প কান্নার মতো লজ্জাহীন, শৃঙ্গার-আহত। ধ্বজভঙ্গ।
বাঁশি
যেকোনো গান গাও। শুনি। শুনি বারবার
ব্রজের ধুলির মতো মেখে দাও সুর
অক্ষরে কৃষ্ণ নাম। এসো সখি, তোমার বিভূতি
অন্ধ করে দিক সব স্খলিত সংকেত। এই বধিরতা।
দেখো ফুটেছে হাসনুহানা। হয়তো সে এসেছে এ পথে
মরমিয়া। এহৃদি প্রান্তরে। কী খোঁজে সে? হয়তো শূন্যতা।
হয়তো সে চলনবিলের জলে খুঁজে ফেরে
রাধা রাধা বাঁশি। তার আয়নায় জলজ তন্তুরা
ফেলেছে অস্থির ছায়া। স্মৃতিহত। ঘোরতর স্বপ্নের ভেতর।
তাকে বলো, অন্ধকার দীর্ঘতম নয় বৃক্ষের ছায়ার চেয়ে।
কোনো দুঃখসুর স্তব্ধ নয় দরবারি কানাড়া সম।
চন্দন পরিয়ে দিও। আলতাচিহ্ন। খড়িমাটি লিপ্ত কপোলে
বলো সখি, বলো তাকে, প্রতারণা শুধু এক ভ্রম
ডুবে যাওয়া অনন্তর কৃষ্ণ গহ্বরে...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন