ব্রজবুলি।
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর
হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে
পরাণ পিরীতি লাগি থির নাহি বান্ধে-
কথন কওয়া যায় এবে কিবা দোষ তার
পেটের চাইতে কিছু বড়হ নাহি গো আর।
ভরান থাকিলে পেট প্রেম নির্ঝরে ঝরে
নইলে শশিও শুখা রুটি মৃ-পাতরে ঝরে।
এত কথা বলি শোন দ্বিধা নাহি ঘোর
রূপ থাকে গুণ থাকে যদি থাকে জোর।
বিদ্যাপতি ভনে এহ শুনহ মানব সকলি
মগজে গাঁথিয়া রাখ বচন, নয়া ব্রজবুলি।
প্রচ্ছায়া।
'মুছেছি রাতদিন মুছছি মৃত্যুশোক'
ভেতরে স্তব্ধ নদী উজাড় শালবন
বহুতল শূন্যদ্বীপ অচেনা বহুমুখ
কংক্রিট ঢাকা মন অস্ফুট কিংশুক ।
যদিও পড়ছে রোদ বিছানা উদ্ভাস
জাফরি ছবি আঁকে দেওয়াল ভরপুর
অগাধ হাওয়ারাত বাতাস শনশন
ফেরে কি সেই দিন উচ্ছ্বসি কালোয়াত!
ফেরে না ফেরে না ভোরের রাজহাঁস
ফেরে না কিশোরীর নরম দুটি হাত
ফেরে না কলমিলতা নির্জন ঘাট
ফেরে না আলপথ একাকী প্রবাস।
'মুছেছি রাতদিন মুছচি মৃত্যুশোক'
অপার বিস্ময় মনে তীব্রতা ঘনায়
অনেক হাঁটাপথ, অনেক বিষুবরেখা
কী আছে পথের শেষ রহস্য ছায়া!
ব্যবহারিক।
ধূসর আতাপাতার নীচে চড়ুইয়ের নাভিশ্বাস ওঠা আত্মরক্ষা ছিল। আলজিব ছিঁড়ে আলটপকা কিছু ব্রিজের সংযোগ,
ছিল অহেতুক হৈ-চৈ ভরা ম্যানহোল।
স্রোত ছাড়িয়ে, বর্ণের রেফকে উপেক্ষা করে গুটিকয় হসন্ত ভাবছে, ময়দান ফাঁকা
অথচ ছত্রাকের নিচে জমা বাজারদর
নিমেষেই সেনসেক্স তুলে দিতে পারে।
এবিষয়ে বিসর্গ জানে কতটা নাব্যতা থাকলে নদী নদী হয় আর প্রায়োগিক সাফল্যে তত্ত্ব হয় মজবুত।
পুকুর-পাড় শুধু কান্না মুছতেই চায় জলবৃত্ত ঢেউয়ে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন