তিনটে অ-গাণিতিক চিহ্ন 





র.
যতই শপথবাক্য পাঠ করাও মিথ্যে বলবোই। অমন করে চাঁদ উঠলে বনলতা হোক বা নীরাই 
সব সুন্দরীরা গঙ্গাজল পাতানো সই। চরিত্রহীন বলোনাকো ভালো করে চেয়ে দেখো আমিও যে ঠিক আমিতো নই। আমিও আসলে তোমার তুমি হই। 





ল.
রাক্ষস আর একজন শাপগ্রস্ত দেবতার বাজারি ঝগড়া সামলাতে সামলাতে তিনটি পথের সন্ধান পাওয়া গেল। প্রথমত পালানোর পথ খোঁজা। না হলে দুজনের অন্তত একজনের শত্রু থেকে প্রেমিক হয়ে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা। অথবা দুজনকেই খুন করে মানুষ হয়ে ওঠা। এর কোনটাই  না পারলে একগলা বাংলা গিলে মহাভারত উগড়ে দেওয়া ছাড়া আর বিকল্প রাস্তা নাই। কেননা প্রতিদিন বউ পেটাতে পেটাতে প্রতিদিন আত্মচর্চা করতে করতে আমি রত্নাকর থেকে বাল্মিকী বাল্মিকী থেকে রত্নাকর হয়ে যাই বিষ্ঠায় শোভা পায় প্রজাপতি




ব.
পয়ার ছন্দে গণধর্ষণকার্য সমাধা করে এইমাত্র উঠে এসে কবি জানালায় আকাশ দেখছেন কোথাও দূরে তারা খসে পড়ল কুকম্ম সেরে বন্ধুরা গা ঢাকা দিয়েছে মেঘে একটু পরেই গাইবেন মল্লার রাগ ধুয়ে দেবেন সব পাপ  পেছনে লাঞ্ছিতার চোখের আগুন পুড়িয়ে দিচ্ছে ডায়েরীর পাতা টেবিলে দাবার বোর্ড ময়ূর সিংহাসনে বসে কবির দোসর

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন