সপ্তম ঘোড়াটি
উঠে বসেছি। ওঃ মেঘ, উঠেছি। বসেছি।
কৃ’ধর্ম ভুলে গেছে গাছ
সেবিকার পোশাকে হাসপাতাল ঘুরে গেছে শূর্পণখা।
ঘ্রাণ জানো! ঈশ্বরীর আঁচলে অগ্রহায়ণ
কারখানার সাইরেনে তুষারপাত,
ঘিয়ের উত্তাপে গলে গেছে শীতলার শরীর।
মৌচাক, এপথেই। ষটকোণে শরৎরচনাবলী
জ্যামুক্ত কাশফুলের গোছা
রানীর গলায় সীতাহার পরিয়ে গেছে দ্বাপরের দ্রোণেরা।
এখানে রাত্রি নেই। শুধুই অশ্বমেধের ঘোড়া
সূর্য উঠলে গিট খুলে যায়......
ছুটে এসেছি। দ্যাখো মেঘ, ছুটে এসেছি!
হাভাতে
মেঘঘন বাড়া ভাত। সংকীর্তন অষ্টপ্রহর ছাঁচ
জন্ম ও মৃত্যুর নাচে মঞ্চ দাপায়। নাট্যম, ভারত।
আসমুদ্র হিমাচলে গড়িয়েছে গতরের ক্ষত, ভাঙাকাচ...
বেদনাঘন মাড় ভাত। ছড়িয়েছে মর্মরধ্বনি
লুপ্তপদ সরীসৃপ হায়, পেরিয়েছে ল্যাপটপস্মৃতি
হাতমাটি আঁচাতে আষাঢ়, গোদাবরী বিকশিত হোক।
চুনরিতে ভাঙা ভাঙা নথ! নরুনে কাকের ছায়া পড়ে
পাঁচালিতে রোদের প্রলাপ। ধুয়ে রাখা খাগের কলম
স্থুলমাকু কন্যাদান তবু, যোগে মহামায়া
ও ভাত প্রভাত নয়, জানি। ফেরিঘাটে কানাকড়ি
ধন। আঢ্যে জমেছে সুশীতল, কুচিকুচি বরফসকাল
সাপ-লা ভেসেছে জলে, গ্রাসে গ্রাসে তোলা শঙ্করী...
বাই ওয়ান গেট ওয়ান
কানপাশার সাথে পাশাখেলার ছক
পানশালার সাথে গুয়াপান
মাছরাঙার সাথে বালবিধবা রাঙাঠাকুমার থান।
স্কিম চলছে, স্টক ক্লিয়ারেন্স
মধ্যযুগ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে রোজ
দু’পা অন্তর উল্কাপাতের ক্ষত।
দুটি সেল্সগার্ল, মেবলিন হাসি
ভাতের মাড় গেলে রাখে, রোজ সকালে
ক্ষুধার্ত চোখে এগিয়ে আসে রোজ।
সাপলুডোর সাথে একজোড়া কালসাপ
কন্ডোমের সাথে ডোমের বউয়ের দুগাছা চুল
আসুন না, কার্ট ভরে ফেলি নিরলস রক্ত আমাশায়!
অরণ্যকাণ্ড
তিনটে হেডলাইট ছিল মাথায়।
সবুজরঙের প্রস্তাবনা ছড়ানো কল্পবৃক্ষে তার জন্ম
বাইসনের ডাক আর পাথরের গাইতি দিয়ে খুঁড়ে দেখেছিল
নিসর্গীয় শয্যাদৃশ্য। দু’ভ্রূর মাঝখানে লালকালি দিয়ে
এঁকে রেখেছিল স্পৃশ্যতা। গন্ধবকুলের ঘর, তপস্যার ছায়া
মাড়িয়ে কেউ যেন একটা হ্রদ কেটে রেখেছিল
রবিফসলের আড়তে।
কান্না ছিলনা তখনও।
নির্ভার বদ্বীপ এঁকে রেখেছিল আলোর গোচরবাসনায়।
উল্লম্ব সিঁড়ির সন্ধিক্ষণে তিসিবীজের সাধ, জ্বলন্ত ভিয়েন
বসানো নাভিপদ্ম। আর্যপুত্রের লালায় ভিজে গেছে
শূর্পণখার ভগাঙ্কুর। তিতিক্ষায় কেটে গেছে কয়েক প্রহর।
অসুখে অসুখে ফেটে যায় কাকাতুয়ার ডিম। মুছে যায়
সামগানের খরোষ্ঠীলিপি। এসো, হেডলাইটের চূড়ায়
নিয়ন জ্বালি আজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন