অপরিচিত সাত




এক.

চা পানের জলসা ঘরে, পিতা কহেন পিতামহের কথা
কল্পনায় যে কহে তার পিতার কথা
সে তার..
সে আবার তার পিতামহের কোনো শিকারের কথা।
কোনো পোষা বাঘের কথা,
গাঢ় চোখের ডোরামৃগীর কথা; মোটেও
পিতা কহেন না নিজের কথা।




দুই.

প্রাণ দিয়ে নাম বানান করে অন্তঃস্থ করবো সঙ্গোপনে

সমস্ত চালতা পাতায় শব্দ ছাপবো তোর সমর্থনে।

কোথায় জিত হলো আর কোথায় হার
পৃথিবী গুণতে বসবে, বসুক বিচার।




তিন.

আমি তোমার ঋদ্ধ পাঠক
কারবালাতে যোদ্ধা সারাবেলার সাধক।




চার.

আমার হৃদয় খুব করে বলছে
সারা শরীরেই কথাদের তরঙ্গ,
চোখ অস্থির হয়ে ভাষা পেতে চাইছে
শুনে দেখো
আমি বলতে চাইছি প্রাণমন সবটা জুড়ে,
একটু শোনো।




পাঁচ.

আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষত'র নিচেই থাকে,
  শানানো ছুরিটার জন্য ভালোবাসা।
               যেন অক্ষত ছিলাম-
বিক্ষত হওয়ারই জন্য।
আহত হওয়াটা প্রাণের যেন আদিমতম রোগ।



ছয়.

তুমিও তো চাইবে না
বিবাদ-বিলাসী দিনাতিপাত অধঃক্ষেপে;
মৃত্যুর পরে বড়ো বড়ো কলাম লেখা হোক।
      কী হবে তবে পরবর্তী পদক্ষেপ?




সাত.

কেবল যে মুহূর্তগুলোয় আমাদের চোখ মিলেছিল,
আটকেছিল প্রাচীন ধাঁধার অর্থ দ্যোতকতায়-
     শুধু সেই মুহূর্তগুলোই বুকের ভেতর জাবর কাটে;
যেন জানত কাল ভোরেই জবেহ হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন