মাছ ধরার ছলে বঁড়শিতে সূর্যের টোপ অথবা যা এখনও জেগে আছে সততই মাটি নামের থইথই পৃথিবীর বুকে ঘনকালো মেঘের মসনদ

সময়+মাটি+জল+শ্রম+কয়লা+আগুন = ইট


নিজেকে সুখি করার সমস্ত উপকরণই

কাউকে বঞ্চিত বা ধর্ষণ করেই পৃথিবীর আলো মাখে


একটা উদাহরণ সহস্র জানালার পর্দায়

আলো-বাতাস আনে

আবার অন্ধকারও ঢুকে যায় 


সময়কে পাত্তা না দিয়ে ঝড়ে যায় পাতা











ফুল থেকে ফল

মূল-কাণ্ড-পাতা-পাপড়ি 

আদর সোহাগ নানা-বনস্পতি 

অমূল্য অমূলক 

এমন করে বলার থেকে দূরে কোথাও মেললে

বরং শুকিয়ে যেত 


পরনের যাকিছু সব উতরে দেওয়া বটফল 

মিথ্যে সমাজের নানাবিধ বর্ণমালা

বিফল হলে পাখিও দুখি 

নিজেকে দ্রবিভূত মঙ্গলে


আজ একেবারেই আমিষ না









গাভিন হবে বলেই— ছ্যা ছ্যা

ঘষে মেজে চকচকে এই রংবাহার


নইলে এযাত্রায় যমের নজর লাগবে না 

কিন্তু বৃদ্ধ ডানার ঝাপট ও ঠোঁটের কামড় খেতে খেতে পাথরটিও অনড়

শেষমেশ পালক ও ঠোঁট খসিয়ে


রক্তাক্ত বাজ আবার অপেক্ষা করে সবুজের 









স্থির একেবারে মন্থর আত্মমগ্নমন্থনে

জলে ভাসছে বালিহাঁস

অথচ ভর তো শূন্য নয়!

বলবে বিজ্ঞান; আমিও বাধ্য 

সব মেনে নেওয়া এবং না-মানাদের নিয়েই

একটা স্বাধীন গণতন্ত্র

অক্সিজেনের ঘাটতি করে পূরণ


তোমার চোখ যা দেখে আমি তা দেখি না

কিন্তু তুমি যা দেখ তাও মিথ্যে নয়

এবং আমার অন্ধত্ব মিথ্যের চাদরে কখনোই 

মোড়ানো যাবে না


মিথ্যে, অর্থ ও ক্ষমতার অলংকরণে তুমি বিপরীত স্তম্ভটিকে গেঁথে তুলতেই পারো


আমাকে দেখতে হবে সব জেনেশুনেই 










এসব শব্দের হাপিত্যেশে মাথা গোঁজার ঠাঁই,

দু-মুঠো ডাল-চালের বন্দোবস্ত না হলেও 

বাকস্বাধীনতার খাতিরে কা কা করবেই


দূষণ থেকে নিজেদের পৃথক করে 

তাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে যাঁরা রক্ষী নিয়ে মৌজ করছেন 


কী আশ্চর্যভাবে তাদের পায়ে তেল দেওয়ার

অক্ষমতাও থেকে গেল!


যতদিন মানুষগুলো চোখ থাকতে বাঁশ বনেই

কাটিয়ে দিচ্ছেন প্রহর— ততদিন সময়ের সালতামামিতে কিছুই বদলে যাওয়ার নয় কারও


মরি আর বাঁচি, নিরন্তর রক্তের স্পর্ধাই খুলে রেখেছি দুচোখ




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন