বাজনা
পাঁচিলের বিষয়ে অজ্ঞতা কিংবা পানকৌড়ির ধারাপাত --
অজ্ঞাত যা-কিছু, বিসর্জনের প্রাক্ মুহূর্তেও হাত বুলিয়েছি স্নেহবশত
আলোর সাথে আমার বনিবনা বরাবর
কলের নিচে সংগ্রহ-দিন
নৌকা সংলগ্ন স্নানঘরের দেয়ালে এখন আপেল
আয়তন যাই হোক, লগ্নিতে দু'হাত বাঁশ আর চারগজ দড়ি
কারা যেন মাঠ ভর্তি পদ্মফুলে ছিটিয়েছে ভিক্ষের চাল।
এখন খাদ্য আর আনন্দ প্রতিবেশী
বাজনা বাজছে। কুলোয় অথৈ স্বস্তিক
ধনুক
ইন্দ্র নেতৃত্ব দেবেন বলে তুলে রাখা হয়েছে একঘরা জল। পরিসীমায় এসে মিইয়ে যাচ্ছে যে ভূমিকম্প, তার দায়িত্বে ছিল একটি চাঁদ। মৃত্যু হল না বলে গতকাল রাতে উঠিয়ে নিয়েছি ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। এখন কী করণীয় ? ইন্দ্রিয় থেকে খুলে পড়ছে প্রাচীন পলেস্তারা। চলুন, আঙুরবাগানে যাই। সাপের গায়ে জল ছিটিয়ে পেড়ে আনি ইন্দ্রধনুর কমলা আলো। লৌকিক যত দাগ, চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েই চলেছে। ইন্দ্রের যাতায়াত পেরিয়ে বিছানায় এসে পড়ছে নির্বোধ অন্ধত্ব। উন্মাদ হয়ে আসার দিন এখন। এখন পূর্ব উল্লিখিত আঙুরে পুঁতে দেবার কথা দুইটি পেরেক।
ঠাকুর
যাতায়াত নেই অথচ কে যেন ধাক্কা দেয়
শব্দ নেই তবু কে যে ফিসফিস করে ভিতর-ভিতর
পর্দা সামান্য সরাই। আরও গাঢ় হয় অন্ধকার
ইনভিসিবল এই যোগাযোগে--
এক ইঞ্চিও বাড়ে না দরজার উচ্চতা
অন্ধ
আপেলের ব্যর্থতা সম্পর্কিত তথ্যে
সাক্ষী হয়ে থেকে যায় ব্যবহৃত বালিশ
যাবতীয় বিক্রি শেষ। এখন সংবাদে রাষ্ট্রদূত
'রঙ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন' বলেছিলেন যারা
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতিই...
ভাগবাট্টা চলছে। পাঁচিলে পোষা কাক
ডাকঘর হয়ে ন্যারো লেন। ওদিকে শীত এসেছে
মুহূর্তরা এখনো প্রাপ্তবয়স্ক নয়।
ওদের পাহারা দেয় একটি অন্ধকবিতা, একা...
ধার করা লেখা
কাপপ্লেট জীবন। কোথাও ভাঙাচোরা বাস্তব আবার কোথাও কিচ্ছু নেই। কোনোদিন অসহায় হরিণ, কোনোদিন প্রবল পুরুষ। রাবণ চরিত্র থেকে নির্মাতা ডিলিট করেছেন উদ্বায়ী কর্পূর। এখন অলৌকিক সুখ। দিনদুপুরে ডাকাতি। কলাবনে নির্জলা সত্য।
কবিতার মাথায় কবিতা ঢাকা দিয়ে সকলে এগিয়ে যাচ্ছে। এ' এক আন্দোলন। নিস্তব্ধ হুঙ্কার। কত যে প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে কান ঘেঁষে আর কত যে বুকের ভিতর খুঁজে নিচ্ছে নিরাপদ বাসাবাড়ি, হিসেব নেই।
... ঋণ বাড়ছে।ধার বড় হচ্ছে আরও। হয়ত একদিন সমুদ্রকেও গিলে নেবে কবির জলতেষ্টা ...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন