নিরামিষ গোলটেবিল
-৩
নীরব ছায়ার ভেতর
সমস্ত দুর্ঘটনার আঁতুড়ঘর
যন্ত্র থেকে যন্ত্রণার দিকে
যে রাস্তা ফিরে আসে
মশারি হাতড়ে
সেখানে অন্ধকার খুঁজি
-২
পাশাপাশি দুটো হাত
জ্বালানো মোমবাতির দিকে
গুছিয়ে রাখছে শূন্যতা
কতদিন দেখা হয় না
শরীরে শরীরে চুপ
দ্রাঘিমাংশ ছেড়ে সূর্য
ঘুম ফেলে আসে স্বপ্নে
-১
পর্দা টানলে একরাশ প্রশ্ন
জীবন ও মৃত্যু নিয়ে বসন্তের মাইগ্রেশন
জল-স্থল-নিঝুম রাতের আত্মহত্যা
তোমার অবয়ব জোৎস্নার ছায়া ধরে নিতে পারে
তবু ফিরে যেতে চাইলে কবিতার অ্যাপস্টপিতে
ঝুলে থাকা আলপিন, নরম-সিক্ত বুকে নদী খুঁড়ে
অথচ ফুঁ দিলেই নিভে যায় বিস্ময়ের নির্জনতা
০
শত আঘাতের পরেও চকচকে আয়না
নাভির ভেতরে আত্মভিমান জমায়
খেয়া ঘাটে পাতায় পাতায় নিরুত্তাপ বিক্রি
আমাদের অসমাপ্ত যৌনতাগুলো স্তুপাকৃত ক্ষোভের
বিস্ফোরণ ঘটায়, স্পর্শাতুর বশীকরণ জন্ম দিতে পারে কি
ঝোপের মতো গেঁথে থাকা পুনর্জন্ম-কে
১
যুদ্ধ শেষে সংগমস্থলে দাঁড়ানো রাত্রির প্রতিলিপি
প্রাগৈতিহাসিক ক্লান্তি বেয়ে লিখে রাখে হত্যার দাগ
পাওনাদাররা খুঁটে খুঁটে কর্কশ স্ট্রিটলাইটে হাত-পা ধুয়ে
জাগ্রত সেন্স অব হিউমারের আশ্রয় নেয়
পৃথিবীর সমস্ত দরজা খুলে খুলে
সাবানের উষ্ণতা মাখো
২
শিশিরেও ঠিকানা বলে দেয়
উৎসারিত প্রতিবিম্ব চোখে
রুট টু বর্ণের রামধনু
রতিচক্র অতিক্রম করে
পৃথিবীর শিরদাঁড়ায় কোট-অনকোট
শর্তসাপেক্ষ সংবহনতন্ত্র রচনা করে
৩
এই বেলায় রিজাইন করো
মাথা ফাটা, খোঁড়া সরকারের
মোটা মোটা রক্তের দাগ
যেহেতু বিটাডাইন ও তুলোর অভাব রাজ্যে তাই
যাবতীয় শ্রী -সংক্রান্ত জোরালো আবেদনগুলোও
সহানুভূতির নোংরা খেলা চিনতে পারে অনায়াসে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন