ফিরিয়ে দেওয়ার পরব ছিল সেদিন
১)
আমাদের মধ্যে একজন নিশ্চয়ই ছিল সেদিন সেখানে,
সেই পড়ন্ত বিকেল বেলায়, না পড়ন্ত নয়, সোহাগিনী
বিকেল বেলায়, বিচ্ছেদের পোড়ো মাঠটাকে সে টেনে
বাড়িয়ে দিয়েছিল, ছড়িয়ে দিয়েছিল দূরে, যতটা টানা যায়
তার চেয়েও বেশি, বেশ একটু বেশি, কিন্তু কোনো একটা
বিশেষ দিকে নয় বলে আমাদের মনে কোনো সন্দেহ ছিল না
সেদিন, তা না হলে সারল্য ঠিকই ভেঙে টুকরো হয়ে যেত …
২)
কোথায় যেন বলা হয়েছিল, বলা হয়েছিল কি, না এটাও একটা
সহজাত ভাব আমাদের, সরল মনের গুমরে ওঠা কাকলি,
বলা হয়েছিল শান দেওয়া নিরালার কথা …
আর যদি নিটোল না-ই চাই, যদি শুধুশুধু, এমনি এমনি
মুখের ভাষাতে আমরা সুরের ভাষা গড়তে থাকি,
মানুষের ব্যাকরণে বাঁধি তাকে, তাহলেও জেনেছি
ফিরিয়ে দেওয়ার পরব ছিল সেদিন, বিদায় নেওয়ার
মরশুম এই চেনা চেনা শেষবেলাকার রোদে,
লুকোনো এবং প্রসারণশীল,
আমি হাত বাড়াই আর একবার সন্ধের গলুই থেকে।
ভালোবাসার কথা বলবে সে আজ সারাদিন
১)
ভালোবাসার কথা বলবে সে আজ সারাদিন, পিছিয়ে পড়েছে
সেই মেঘ, স্বপ্নের ভারে অবনতা, অবনতা যেমন
ভরা যৌবন গ্র্যান্ডিফ্লোরা, সুহাসিনী গাছ তার এপিনাস্টি চলন
সন্ধের হাওয়াতে বুঝি সেও আজ ভালবাসবে আলতো,
উজ্জ্বল হবে
ঘষেমেজে পুরোনো আংটির মত গল্পবলা উজ্জ্বল।
২)
এমনিই কপাল তার, যেন এভাবেই নির্ভর করছে
তার পরের পা টা ফেলা, আমি চাই, এতদিন পরেও আমি চাই,
সে ঠিক পা টা আগে ফেলুক …
যদিও ঠিক বলাতে
আমরা যা বুঝি সেটা একটা ধারণা, আর এই ধারণাই
তাকে দখল করে নেয় এবার, আগেও করেছে হয়ত,
কিন্তু তখন বাসনা ছিল প্রধান হাতিয়ার, আর এখন সেই
যুদ্ধেরই ইতিহাস – প্রকৃত? তাহলে এসো এইভাবেই আমরা
প্রকৃতের খোঁজে যাই, এইভাবেই আমরা
ভালোবাসার কথা শুনি। সারাদিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন