পুরাণ পৃষ্ঠা 

আকাঙ্ক্ষার থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে
রক্তবর্ণ ফুল, ফলের মাতা
ফুলের মাতৃজঠে সন্তান ধারাবাহিকতায় বৃদ্ধি পায়। 
এমনই রক্তবর্ণ সাঁইত্রিশটা ফুল তুলে আনার
নির্দেশ দিয়েছিল কেউ আমাকে। 
বর্ণ প্রত্যক্ষ করে বাগানে ঢুকি
সামান্য বাগানে খুঁজে পাই বিড়ম্বনার রক্তবর্ণ শোভা
আঙুলের বর্ণের সাথে মিশে যায় নান্দনিক সৌন্দর্য
আমার তর্জনী থেকে শুরু হয়
রক্তপ্রপাতের ধারাবাহিকতার পুরাণ পৃষ্ঠা। 
শান্তভাবে ঘুমিয়ে আছে মাছ, 
মুখ তোলে প্রবাল প্রাচীর। 
প্রথম কাঁটা, প্রথম প্রবাহ, প্রথম নদীজল সাতসমুদ্র---
আমার সাঁইত্রিশটা শতাব্দীব্যাপী
সাত তারার জীবিত থাকা
ভেঙে যাওয়া ফুল, ভেঙে পড়া তারা। 






হুইল চেয়ার 

সীমাবদ্ধ দুপুর শেষ হলে আমি টিলায় উঠি, 
দেখি আন্তরিক নক্ষত্র সমস্ত ঘুমিয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে। 
এ দৃশ্যদর্শনে কোনো বিষয় নেই আমার, ব্যথাও নেই। 
প্রকারান্তরে মেনে নিচ্ছি অন্ধকার
অন্ধত্ব বলতে আমরা কি বুঝি ? 
একথার আলোচনা থাক। 
ধাপে ধাপে আর কতটাই সভ্য হব আমরা
পোশাকে অথবা পৃষ্ঠপোষকতায় ? 
মাঝে মাঝে আদিম অসভ্য হতে ইচ্ছে হয়। 
প্রবল সামাজিকের আক্রমণের জবাব দিই
দ্ব্যর্থহীন কথায়। 
কখনো বাক্যহারা হলে বুঝি
মাত্রাহীন নিষ্ঠুরতা হার মানায়
হুইল চেয়ার এবং মাত্রাহীন সূর্যকে। 



দিব্যজ্যোতি চন্দ

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন