সংক্রমণের পাঁজি-১৬
এমুহূর্তে কোনো আশ্বাসন নয়
হারপ্রাপ্ত সত্যাগ্রহী বটগুলোকে অসুখ মুখে খুঁজে আনো
ম্যাগনেটিক সোহাগপুরের পথে শতাব্দীকাল
বিলি করে আসছো খুচরো জার্নাল
বাকি কিছু আঙুলের দ্বিধা মেনে সম্ভোগের পথে
এসব হতাহত সারা হলে
সারস উলুবনে লিখে রাখবে হাঁড়ির মধুমাস
রেলগার্ড ভেঙে তবু ঢুকে আসতে চায়
ছায়াশিক্ষার ইস্তেহার
সর্ষে তেল জানে না ডোমপাড়ার দূতের ডিগ্রী
যদিও লোকালয় ছেড়ে হাইওয়ে গুনে রাখে
ঝিঙের বলাৎকারে জারিত প্রহর সংখ্যা
বর্ণদূত, একবার তবে স্ব-ফল হও!
সংক্রমণের পাঁজি-১৭
হাহাকারের গোলোযোগ নিঙড়ে
উড়ে চলেছে সমাজবদ্ধ এক প্রজাপতি
নিঃশব্দ সূচিত করে
আমিও সেরে নিতে চাইছিলাম ফুলের ঘ্রাণতর্পণ
সফরে নেমেছে পরিযায়ীজন্ম
কঙ্কালসার ঘুমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঝোলানো টিকিট
তার সওয়ারির দ্বিতীয় মোড়ে
খুঁজছে মুক্তগোলার্ধ
মেদুরতা ভেঙে গেলে কীভাবে
পাটশিল্প হয়?
সংক্রমণের পাঁজি-১৮
কৌশল গর্জে উঠছে ব্যানারের তাবিচে
অথচ রাস্তা ঢেকেছে বিপন্ন স্বর্ণলতা
অনুভূতির শিরেও
আতঙ্কের আজ সংক্রান্তি
বিচলিত পথের দাবিদাওয়ায় কিশমিশ ব্যাপারি
খুলেছে দোকান। পাড়ায় পাড়ায়
আমার তবু শুকনো কোঁচড় খুলে
প্রতিদিন ভাতের গন্ধ ছেঁকে
ভববন্ধন বেড়ে রাখছি থালায়
সংক্রমণের পাঁজি-২২
তর্জনের নিরাকার নিয়ে বলছিলাম নামান্ধজনের প্রেমের কথা
মরা হাওয়া পাশাপাশি
রাজহাঁসেদের বিবাদজনিত গসিপ
গলি পেরিয়ে ... এস.আর.ডি রোডের ভ্রমণে
দূরগামী যাত্রীটিরও বুকের ভেতর ডেকেছিল অসংখ্য ঝিঁঝি ডাক
জমেছিল শামুখ খোলের
অনিশ্চয়তা
কিন্তু ঘুমের কোনো ফাঁক তো ছিল না
ভোরের চাঁদ গিলে নেবার
প্রয়োজন যতটা
সংক্রমণের পাঁজি-২৫
চরে বাতিল কিছু শব্দ
মাত্রা ছেড়ে গেছে
ওইখানেই ঢিবির বোতাম খুলে দেখো
হাড়, পাঁজরের কত তাজমহল
শুধু প্রবাহকে ভালোবেসে যারা মুড়িয়েছে মাথা
রক্তাক্ত বৃক্ষের সারাৎসার
করাতের প্রবল দিনে গমন ভুলেছে সতেজ ভ্রমণ
ধুঁকতে থাকা বলাকার পিঠে
মৃতের ব্যঞ্জনধ্বনি
শুধু শোনার জন্য প্রয়োজন পাথরিক ঈর্ষার সঙ্গে
তোমার মোলাকাত
সংক্রমণের পাঁজি -৩৫
আবদ্ধ নালীতে শুরু হয়েছে গৃহের পরিমার্জন
নতুনের দিক থেকে যে পালক পূর্তনয়নে গৃহীত হলো
নাম দিলাম শালুককুন্ড। ওরা বেড়ে উঠবে দেয়াল গোষ্ঠীর খাপে খাপে
আড়াইচালের একখন্ড ভ্রমের দরজা
অতিমারী ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারে পথচারীর বিশুদ্ধ প্রহর
এইটুকু সম্ভাবনা তবু
আমাকে ছায়াবীথির দিকে নিয়ে যায়
মন চায় বিদুরের খুদ
বিষ্ণুমতি মুহূর্তে তবে একটু দাঁড়িয়ো
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন