শূন্যে মিশে যাবার আগে
হে মান্যবর
সবার মতো আপনিও জানেন এবং মানেনও-
কোনও কিছু শুনে এবং দেখে আশ্চর্য হওয়া
এখন নিছক এক অসভ্যতা।
তাই সে-রকম কিছুতে
চোখের আভ্যন্তরীণ গোলোযোগ বা ক্ষতি যা-ই ঘটুক না কেন
বুঝতে পারি
রোদচশমাও আসলে একটা পরিকল্পিত প্রয়োজন।
শুনেছি, ভাঙতে ভাঙতে দীর্ঘ হয়ে যাওয়াই নাকি তার ঐশ্বর্য!
তার স্বজনেরা বলছে, দেহখানির হাড়গোড় জুড়তে জুড়তে খাল-বিল পেরিয়ে যাওয়াই তার টেলেন্ট!
আবার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ কেউ হাততালি দিয়ে বলছে, জিহ্বাটা মাটিতে ঘষটে ঘষটে কলজেটা মুখ-পথে হাতের মুঠোয় তুলে আনাই নাকি তার অভ্যাস! আশ্চর্য জাদু তার!
হে মান্যবর
এ দেশ এভাবেই তাকে বুঝিয়েছে-
শোনো পথিক শোনো প্রিয়
নীরবে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছো বলেই তুমি মহান!
এই স্বীকৃতিতেই তার অভিমান
অভিমানে শূন্যে মিশে যাবার আগে
সে দেখলো-
তার মাথার ওপর শতছিদ্র আকাশ!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন