এক
তার সব অনাহুত সাগরেই নিমজ্জিত বিমূর্ত আক্ষেপ, নিঃসৃত কামধেনু, রতি রতি মোমসুলভ কার্নিভালের সুনিপুণ মুখ, হিমজমা বরফের তীব্র বিস্বাদ; উভচর ছিল না কখনও তবুও মুক্ত ছিল সংঘবদ্ধ তপস্যার বীজ, গাউনের তুমি থেকে বালির কিলবিল গ্যামেট জাইগট নির্মাণের অভিমুখে কেবলই পিছনে তাকায়; অতিমুখ বসে আছে ক্ষেতের সহজ চেয়ারে, আগুনে ঝলসানো ফুসফুসের অবক্ষয়ী চেতনা তামাকু বাতাস ঘুরে ঘুরে পাকিয়ে পাকিয়ে মিশে যায় অবাধের কার্নিভালে; স্থাবর বিরোধী সে, পিথাগোরাসের উপপাদ্য পার হওয়া সাধ্যের অতীত, তিমির দুঃস্বপ্ন জানে তৃতীয় প্রহর, তৃতীয় ফুসফুস জানে নির্বাহী সম্পাদকের দপ্তর বদল হলে থরোথরো শিককাবাব পুর-বাসীনিদের অতিরিক্ত সাদা হাড় তরিৎ-আহত বৃক্ষে পরিণত হয়
দুই
আঙুল জড়ানো গাছে। স্বরচিহ্নের অনুক্রম। সুগন্ধিত অশরীরী প্রেতচ্ছায়া। বালিছাঁচা রোদ থেকে খুঁটে খায় নিবিড় উষ্ণতা। জাগো অনাদরে অনাবৃত নাবিকসুলভ। বিবিধ রশ্মির মুখ। ভালোবাসা এবং বিষফোঁড়া। একই সঙ্গে সংক্রমণের প্রতি অনুগত। সংক্রমণ সর্ষেফুল আক্রান্ত একটি হলুদ ঈর্ষা। আর একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় ভালোবাসা, বিষফোঁড়া, পোস্তবাটা আর সর্ষেফুলের প্রতিক্রিয়া সমবেতভাবে কোনও ধ্রুপদী ও মৃতজীবি ছত্রাকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয় না। মৃতজীবি ছত্রাককে শিলালিপির উৎসকবি আফ্রোডিসিয়াক বলছেন এবং উত্তরাধুনিক লিবিডো একে নারীবাদী বলে থাকেন। আক্রান্ত ইছামতী বহুগামী রাত্রির অভিমুখী, সন্দিগ্ধ মেরুপ্রভা অনেকটা বিস্মিত, গুটি পায়ে শিকারকে অন্ন আচ্ছনতায় গ্রাস করে, যেমন কোন কোন বিষাক্ত বিভা মধুকূপ এড়িয়ে যেতে পারেনা; কালচক্র একঘেয়ে, নীলবর্ণ জিহ্বার স্নায়ুহীন জনন অভ্যাস। প্রবাহ একটানা সময়---- তাকে আনুগত্যের ঘড়িতে বেঁধে রাখা হাস্যকর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন