শীর্ষাসন


কয়েক হাজার বছর ধরেই 
ছোটোবেলায় কে যেন বলে চলেছিল--
ওই উপরেই স্বর্গ আছে।

তারপর থেকে কোনো মানুষই আর 
শীর্ষাসন করেনি
 

ক্রমাগত তাদের টাক পড়ে চলেছে,
মাথায়, দৃষ্টি ও স্মৃতিশক্তিতে ......


যদিও হাজার বছর ধরে,
সারাটা পথ জুড়েই তারা চলন্ত, 
গাড়িতে উঠে সব টোটকাই তাদের খাওয়া হয়ে গেছে!







যুদ্ধ ও একমাত্র পথ

["নান্য পন্থা বিদ্যতে অয়নায়"।]

লক্ষ্যবস্তু স্থির হয়েছে।
এবার--"আকাশ তুমি মরো...
জল তুমি মরো....স্থল তুমি মরো....."

তবে ওই দেখ--কে?...এই দূরেও কে,এই
অচেনা 'গাজা'র হাসপাতালে তোমাদের সাদা 
পোশাকের প্রান্ত টেনে ধরেছে,.. রক্তে 
কাতরাচ্ছে,...ওদের তুলো চাই বুঝি?...ব্যান্ডেজ 
বা 'গজ'?...

অভিধান জানালো--
"প্যালেস্টাইনের শহর 'গাজা' থেকেই এসেছে
সারা পৃথিবীর চিকিৎসার 'গজ' '!

তাই বোম নয়,...ওদের ব্যাথায় 'গজ' দাও, হে 
হাজার বছরের নির্বংশ না-হতে চাওয়া পান্থ-
মানব!..."বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি"...। 

এছাড়া আর অন্য কোনো পথ নেই--জেন।








আকাল

আকালের সন্ধানে
এখন কোথাও যেতে হবে না আর--
সবখানেই ছড়িয়ে এখন 'ভালো থাকা'র আকাল!

এমনকি দরকার না পড়লে কেউ আর  জিজ্ঞেসও করে না-- 'ভালো আছেন?'

অথচ একটু আগে সকলেরই স্বগক্তিতে জানা ছিল --
'এযুগে আর কতটুকুই বা ভালো থাকা যায়!'
তবুও জিজ্ঞাসা করাটুকু ছিল,ছিল অকাল বোধন...
মৌমাছি প্রতিদিন ভোরে ফুলের কাছে যেত,'গুড মর্নিং' জানাতো...বলত--
'ভালো আছো তো?'
দিকে দিকে ফুল ফুটত...অরণ্য মুখরা হত... মানুষ মানুষের নাগাল পেত...


এখন ফুল ফোটে না কোথাও... বসন্তও নেই,
আছে কিছু রঙিন দাপাদাপি!আর আকাল...






১০১ সীমান্ত লোকাল

শিয়ালদহে দর্শক হলাম--
কী অসাধারণ স্কিল!

স্টেশনের বাইরে
লোভনীয় বাঁধানো চত্তর...ফাঁকা... এখন ট্রেন নেই বোধহয়...

যাহোক,এখনই তো ফুটবলের সময়....
যাত্রীদের ফেলে যাওয়া
খালি বহুজাতিক জলের বোতল...
দুটি খালি-পা নীল সাদা জার্সিহীন ভিখারি ছেলেমেয়ের অসাধারণ পায়ের কাজ...গতি... কোমরের ভাঁজ... 
আশপাশ দিয়ে কিছু যাত্রী-মানুষ...
আবার ডজ... আবার ড্রিবলিং...
যেন মারাদোনা-মারাদোনিয়া...

হঠাৎ হুইসেল...
কত ব্যস্ত ভিড়... কত পা...এসে গেল ১০১ সীমান্ত লোকাল...পায়ে পায়ে হারিয়ে গেল খেলা,
গেল ফুটবল...গেল বোতল...!





অতনু রায়


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন