তলোয়ারের ধারে পারমাণবিক সন্ত্রাসে চন্দনগাছ একা একাই ভাত-ছায়া খোঁজে

কবে যেন শেষ ভেসেছিল কাগজের নৌকো। ওই ওইখানেই তো রাখা আছে টলমল টলমল কচিকচি স্বপ্ন-নদীর যৌবন। আর ওই নদীতেই কবে যেন গ্রহণশেষে স্নান করতে নেমেছিলাম টেরই পাইনি ওই নদী-সিনান সময়জলে-কুলুতানে ভেসে গেছে তোমার আমার একান্ত ভীষন শুদ্ধ গহ্বর-সান্নিধ্য প্রাত্যহিক ত্রিভুজ-বৃত্ত-রম্বস ছলছল পাতাকুড়োনো মাইয়ের বোঁটায় চুকচুক  চু... প্রতিকৃতি নির্মাণ।

হ্যাঁ, এখনও মৃত্যু-উত্তর চারণে ঠোঁটে বিস্ময় চোখ তৃষ্ণায় ভিজে যায়। কাঁটার দোলন থামে। নিস্পন্দ ঘড়ি শুকনো নদী। এই ধূধূ অবেলা-বেলায় নিঃস্ব ভুবনডাঙা নিজেকেই ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভিজতে ভেজাতে চায় আর তাই (ডানা তো কবেই পরিযায়ীদের সাথে কাজ খুঁজতে নাকি পাখি খুঁজতে বেরিয়ে গেছে) হাঁটিহাঁটি কুড়িয়ে চলে কৃষ্ণকলি পরাণ।
 
ও হ্যাঁ একটা কথা, কোনোকালেই তো আমার চারপাশে কিংবা মাথার ওপর দেয়াল নেই। দেয়াল এগিয়ে আমার গা কাঁপানো আগুন জ্বর আসে। ওই আগুনের শিখায় গরাদ ভাঙতে মানত করা রুটি সেঁকা হতে থাকে। ঝাঁপিয়ে পড়া বিশেষ বিশেষ অনুগ্রহ ঝুলতে থাকে। ওদিকে প্রাগৈতিহাসিক খাঁচাভাঙা স্থাপত্যে ঈশ্বরও খুঁজতে থাকেন মেরুদণ্ড টানটান প্রাচীন গাছটাকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে জগৎ-হাটশেষে ঈশ্বরও স্মৃতিকাতর হন। কারণ তিনি যে জানেন জীবনও হ্যামলিনের বাঁশিও না কখনও বাসি হয় না। দূর পালানো ত্রিভুজ ঘিরে মাছি যখন ভনভন করে ঈশ্বরের সাথে (কোন এক বিবেক বলেছিল জীব মাত্রেই ঈশ্বর) ঈশ্বর ও পরিযায়ী ও মাছি এবং সে চিৎকার করতে চায়— এই শোনো শোনো শৈশবের ঘুমপাড়ানো গানের পরে নাকি বাকি শরীরটা (ভেড়ির জলে শরীরের কোন কোন অংশ মাছেদের টোপ হিসেবে গাঁথা আছে) হ্যাঁ বাকি শরীরটার কেন যে  দেখা পাইনা। কেন যে চিতাটায় এবং কবরে সুগন্ধি নামাবে চন্দনগাছ নাকি ঠিকঠাক বলা হল না বারবার নাভিগর্ভে ভেড়িগর্ভে মুখ নামায় ওকে ওকি চন্দন গাছ, অথচ আদুরে ভাতছায়া বোঝাই কাগজের নৌকটাকে— এই কোথায় রে একলা মরণ রে নীল কী নীল চকমকি ঠোকা আকাশটা রে তোকে কে ঢেকে দিচ্ছে 

আমি যে কাগজের নৌকো বাইবো আমায় কাগজ দাও নৌকো বানানোর কৃৎকৌশল দাও কিছু না পারো জল থৈথৈ ভালোবাসা-আকাশ দাও।


স্বপন দত্ত

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন