একেবারেই নতুন কিছু ঘটেনা

এই এখন গড়াগড়ি দিব
রাত বাড়বে, বিছানা ঘুমিয়ে কাতর
আমি শুধু নিঃশ্বাস নিতে দিতে ক্লান্ত
"ঘুমা বোন"- শেষ তারাটা ডুবার আগে বলে গেছে
আমি বিরক্তিকর চিন্তায় সাঁতরে তখনো দেদীপ্যমান।
মৃত ব্যাটারির নির্জীবতা যেমন, সটান
দ্যুক-এর ছবি আবেশিত চোখ বা
রেহানের স্বতন্ত্র উর্ধ্বমুখীতা
আমারে ঘিঞ্জি করে ঘিরতে গিয়ে
আরেকটা সন্তের মতো রাত কাটে।
দারুণ কিছুহীন হয়ে
দারুণ কিছু লীন হয়ে
শরীরের এক চতুর্থাংশ সম্ভাবনা ফুরালে যে
সমবয়সী দেয়ালের জড়াজড়িতে বাঁচি -
তারও ঘুম আসে। আমার শ্রাদ্ধের দিন আগায় না,
নূন্যতম শ্লীলতা হারানো কাগজের মতো
হরিপদ কেরানির ড্রয়ারে, চলৎশক্তিহীন




একটি অপ্রাপ্তির কবিতা

আমার অন্যরকম প্রেম
যে বহুগামীতা দেখেও আমার প্রতি মৌন থাকে
যে অন্তরঙ্গ শব্দটা খুঁজে নেয়
যার তিরষ্কারে আমার বোধোদয় ঘটে
দুঃখিত হলে ভান করে ভিন্নরকম
আমার অন্যরকম প্রেম
যার কাছে আমার কোনোই সম্ভাবনা নাই
যার অ্যাবস্ট্রাক্ট চাহনিতে আমার বেঁচে থাকারা বড়ো হয়ে ওঠে
আমরা টিকে থাকি মরা পাতার
 ঝরে যাওয়ার রোমান্টিসিজমে নির্ভর করে।
আমার যে প্রেমটা আজীবন না করা থেকে যাবে
শুধু পড়তে জানতেই তাকে
কেটে যাবে এক ঐহিক জনম।




যা কিছু বৃথা

আর্তরব কেবল শব্দদূষণ,
টোল খাওয়া আকাশদুহিতা কোথা থেকে
 কোথায় পালিয়েছে; প্রণয়ী খোঁজেনি
তাই আর বিহারগামী রাগ ফেরেনি।

বৃথা এই অভিযানকে দীর্ঘতর করা
ক্লান্তিতে হৃদপেশি উসকে দেয়
 হার মানার পূর্বের প্রকৃতি,
চোখের আগুন উনুনে গুঁজেছে তেজ,
গালের জৌলুস সন্ততির চুলে, চোখে, ঠোঁটে
কোথায় কবে ভুলে শুরু হয়েছিল আরোহণ
তাই তো এতো দীর্ঘ পতনের সাজা।

একটা করে প্রাচীর।
গোল করা কতিপয় পাখি কোথা থেকে
আরো বয়সের প্রতি লোভ ধরে আনে,
একই ভজন, একই জন
কালান্তরে সেই একই সাধনা।




প্রিয়তি সুবাইতা

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন