ক্ষতচিহ্ন..
যে বিষয়টা এতদিন বুঝতে পারিনি সেটা হলোযেভাবে আমি ঘুমিয়ে থাকি
সেভাবে কোনো মানুষ ঘুমায় না |
দুটো চোখ বন্ধ করে নিঃসাড়ে শুয়ে থাকলেই
যদি ঘুমোনো যেত
স্লিপিং পিল বলে পৃথিবীতে কোনো বস্তু থাকতো না,
যেভাবে মানুষ মানুষের ঘুম কাড়ে..
তলানিতে ঠেকা বিশ্বাস ভেজা গামছার মতো নিংড়ে
পা ফেলার প্রতিটি মুহূর্তে রক্তবীজের মতো ছড়িয়ে দেয় সহস্র অন্ধকার...
সুতোর জটের মতো নিঃশ্বাসে পাক লেগে
জীবনের শেষ মুহূর্তটি একবারই টলে ওঠে
ধুলোয় স্নান সারা একফালি চাঁদের মতো |
বাঁচার মধ্যে যেটুকু বেঁচে থাকে
অসহায় সকালের সারাগায়ে আত্মঘাতী রাতের ক্ষতচিহ্ন|
দেয়ালা
আসলে আমরা সবাই জিতে যেতে চাইঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি আর হাসি
কোনো কাঠ খড় না পুড়িয়ে
বারবার জিতে গেলে
বেঁচে থাকার কোনো মানে থাকে কি ?
কত অযুত বছর পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ হামাগুড়ি দিতে দিতে
চোখ খুলে সবে তো হাঁটতে শিখেছি...
হাজার জন্ম ফুরিয়ে বাউল জন্ম নিয়েছি, সাধের একতারায়...
আমি তো জিতিনি কোনোদিন..
হেরে যেতে যেতে স্বপ্ন দেখেছি কেবল|
কবিতা :কান্না কি আগুন হতে পারে?
থেমে যাওয়া দেখে অনেকেইপাগলের মতো হাততালি দিয়ে ওঠে
ঠিকানা সরিয়ে পা দুটোকে পুঁতে দিতে চায় অন্য গ্রহের দেশে
আমি উন্মাদ হতে পারি
আপনি পাগল হতে পারেন
ফুটপাথে দোকান দিয়ে যারা দিনভর চিৎকার করে যায়
তারা অভদ্র ইতর,
তবুওতো অমাবস্যার আকাশে কিছুটা হলেও গৃহস্থের আলো পড়ে |
শহরের সমস্ত ল্যাম্পোস্ট নিভিয়ে ভালুকের মতো
যারা মৃতদেহ শুঁকে ফেরে
পঁচা নর্দমায় জলে তারাও একদিন গুটিয়ে যায়|
এখন প্রশ্ন হচ্ছে
ভালুক যদি কেন্নো হতে পারে..
শুয়োপোকা প্রজাপতি,
কান্না কেনো আগুন হবে না?
কাঁটাতার..
চাল ডাল তেল নুন তরল অন্ধকার
কাঁটাতারে পাশ ফিরে শোয় বলিরেখা পড়া মুখ,
আমি যে লিখতে জানি এ ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছি কবেই...
এখন শুধু চুপচাপ চেয়ে দেখি
ভুল সময়ে ঘুমিয়ে পড়ছে বৃন্তচ্যুত আকাশ,শীতের গামছায় চাঁদের জীর্ণ আলো এসে
আরো দুর্বোধ্য করে তুলছে ..
দেওয়ালের দুপাশে ঝুলে থাকা কাটাছেঁড়া এপিগ্রাফি|
আর নেশাতুর পৃথিবী শুনিয়ে যাচ্ছে
ইহকাল, পরকাল ও
শ্মশান সংলগ্ন একটি নদীর জন্মবৃত্যান্ত|
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন