দগ্ধ
এমন দহন, বাতাস কে আর কি দোষ দেবো lকবে থেকেই পুড়ছি বসে, যত ভাবে পুড়তে পারি l
বুঝতে পারি আগুন লাগা,
শরীর জুড়ে ফোস্কা গলে দগদগে ঘা l
যেখানে যা একটু খানি সবুজ ছিলো,
কয়েক খানি গাছের পাতা, দুব্বো ঘাস, আর
ঘুড়ি, লাটাই, অংক খাতা l
সবই নিলো লোভের আগুন,
ক্ষোভের আগুন পঙ্গু দেহে, বন্দি দশায়,
আঁচড় বসায় তীক্ষ্ণ নখের হিংস্র চাওয়া l
যার কাছে সব বিচার পাওয়া,
সেও তো এখন মূক ও বধির, পক্ষপাতী l
রোজই দেখি সাধুর বেশে, ডাকাত এসে
লুট করে যায় জীবন যাপন, কুঁকড়ে থাকি, পুড়তে থাকি, যত ভাবে পুড়তে পারি l
সম্পূর্ণ
আবার কখনও যদি আসোএভাবে কখনও এসো না আর,
সম্পূর্ণ শরীর নিয়ে এসো l
হটাৎ কোনো ধূসর সন্ধ্যায়
কানের লতি অথবা দু একটি আঙ্গুল,
আর নিভে যাওয়া প্রদীপের
পোড়া সলতের কটু গন্ধ নিয়ে নয়,
পালকের মতো নরম কোনো ভোরে
শিশির ভেজা ঘাসের উপর হেঁটে,
পাতায় ভরা শাখা প্রশাখার মতো
সম্পূর্ণ একটি শরীর নিয়ে এসো l
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন