কিইইই
নিজেকে দিয়েই শুরু করি। হ্যাঁ, নিজেকে দিয়েই। গোপন অঙ্গের পূজন আঁকি শুনি। মাঠের পরে মাঠ সোহাগ-পোড়ায় ডুবি, জড়িয়ে ধরি। মম ঘ্রাণ প্রাচীন উড়ন চাদর বিছিয়ে আমি তো ভেসে যেতে চাই। পারি না। বেশ বুঝতে পারি এই ঝরতে থাকা গোঙাতে থাকা ঘ্রাণ-গান-ছবিতো একলা আমার নয়। আরও কারও মাটিতে লুটিয়ে থাকা মাটি আস্ত দুশোছখানা সা থেকে নি বাজতে থাকা কোমল পায়চারি... পাগল গ্রেনেড ফাটে। হাঁতড়ে ধরি মাটিতে হাঁপাতে থাকা পাঁচ আঙুল তৃষ্ণা। বারুদ ফাটলে ধ্বসতে থাকা অপলক চোখ... ওরে ওশেকড়ে যে নামতে পারি না। ওরে আমারই খোলস ক্ষরণ-তরলে ভরা বাটি কখন যে আমারই হাতে যুবতীর পেছন-ধরা নাছড়-আমিই ধরিয়ে দিলাম।
আমি আমার ভাষা কার কাছে পাঠাবো। কে আমাকে রশি বেঁধে দাঁড় করিয়ে রেখেছে একটা একলা তালগাছের মাথায়। এতো এতো ঝুলন্ত সূর্য, অথচ তাড়ির পরে তাড়ি পান করে উজনমূখর হওয়া সাধ্যের বাইরে। সূর্য কি আমার সাথে সঙ্গম যাপন করে আর তার পর আমারই মাংস পোড়ানো ঘ্রাণ আমাতেই কি উৎসর্গ করছে। বুঝতে পারি না এখন সূর্য না বৃষ্টি নাকি নিজে নিজেকে কিনে আমার বাকল ছাড়াতে তোমাকে লজ্জায় কুঁকড়ে দেন বা দিচ্ছি। তখনও কি আমার নিকটআত্মীয়-ভাষা তোমাকে জড়াতে জঙ্গলে লুকোয় লুকোনো নিকট আপন খুলতে... কী করি বল দেখি... না, ফাঁসি যেতে রাজি নই। এখনও যে কুচি কুচি করে তোমাকে কুচুকুচু গুছিয়ে রাখা হয়নি। তোমার আদিম গুহা থেকে তোমার ঘামফোঁটা কুড়িয়ে কুড়িয়ে ঘট ভরে ভরে ভেতরকার ঘুমিয়ে থাকা মানুষটাকে জাগানো হয়নি... আরে মাটির মিথুনে দু-এক কুচি গান আগে গর্ভে রাখি তবে তো নিরুদ্দেশ হবো। তবে তো ট্রিগার টিপে গুলির আগে আগে দৌড়ে প্রসুতির চেয়েও প্রসুতির কাছে নিজেকে পৌঁছে দেব। সে যে কতদিন হয়ে গেল তোমাকে পড়া হয়নি। নিজের লাশ কাঁধে করে তোমার গায়ে জবজব ভেজা হয়নি... চাঁদের জল ভাসে চাঁদকে থোকা থোকা-- থোকা থোকা কি... ওগো লালতা পায়ে লালতি মাটি একবার বল কিইইই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন