১) 
যুদ্ধ

দেশে দেশে 
যুদ্ধ চলে-- 
'ইসে' ও 'কিসে'। 
শৈশব আর যৌবন
মরেছে যে শেষে!






২) 
অভিমান বা ঘৃণা

সবাই দেখেছে--'আমি লিখছি'! 

না-পড়েই তারিফ করছে--
'লাভ' 'লাইক'  দিচ্ছে..., 
হাততালিও দিচ্ছে কেউ কেউ..., 
নতুন করে সভাপতির নাম ঠিক করছে..., চাঁদার 
বয়ান লিখছে..., ছেলেমেয়েদের পড়াতে পাঠাবে 
ভাবছে..., চায়ের দোকানে উদাহরণ দেবে দেবে 
করছে..., ডান্ডার মাথায় প্রকাশের আপেক্ষায় 
বিপ্লব গুটিয়ে রাখছে..., আমার অটোগ্ৰাফ 
চাইছে..., 

কিন্তু আমার মৃত্যুর পর বলাবলি হল--
'যাঃ, এ কোন্ পথে যে 'না'-হয়ে গেল--
লেখেনি কিছুই! 
লেখার অভিনয় করাটা ওর এক তীব্র অভিমান 
নাকি ঘৃণা ছিল--কে জানে?'







৩) 
অধুনা নগরে সব ঋতুতে

এই শীতে, 
এসব নগরে,
কাঁচভাঙার তীক্ষ্ণতায়, কুয়াশা নামবে। 

গ্ৰীষ্মে ঘাম নয়, 
এসিতে বডি স্প্রের গন্ধ থাকবে। 

বর্ষায় কিঞ্চিৎ প্রেমহীন বিরহ ,... 
আর শরতের না-ছুঁয়ে ফিরে যাওয়া থাকবে... 
হেমন্ত আসবে না... 

বসন্ত টবে টবে ফুল নিয়ে আসলেও..., 
অনেক শয্যায় 
ডোর-ছেঁড়া বিষাদে ফুল ঝরবে...







৪) 
মণিপুর 

ভেজা আঁচলে ল্যাঠা মাছ জড়িয়ে সে এসেছিল। 

কুড়ি হাজার ফিট উঁচু পাহাড় থেকে পড়েও--
একদম জ্যান্ত! 
তিরতিরে...ঝকঝকে... ফালাফালা
জ্যোৎস্নার মতো--আলোময়। 


ওই তো বুকে আবছা পাহাড়গুলোর ছায়া... 
সূর্যাস্তের নীলচে-লাল-সোনালী-হলুদ... সবশেষে ধূসর-- 
যেন অবন ঠাকুরের ওয়াশের কাজ ...! 

ওই তো ফিরে এলো--
আবার সেই শান্ত তিরতিরে উজ্জ্বল মণিপুর--
যেখানে শীতের আগে বসন্ত আসবে!






৫) 
হিংসা

দিনটা ছিল অষ্টমী। 
রেস্টুরেন্ট থেকে যুগলে বের হওয়ার পর 
একজন বলল--'তুমি বেশি জানো? আমি দেখেছি 
পাশের টেবিলের ওরা মঙ্গোলিয়ান রাইস নিয়েছে!'

              
(যদিও ওটা ছিল... 
যদিও ওরা কেউ চেঙ্গিস খানের...)






অতনু রায় 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন