ভূটানি রমনী
আমি জানি তুমি সুনীলের ফ্যান
তাই বলে ঐ লাইনটা আর হেজিও না ?
তিন ঘন্টা ট্রেন লেট।
সেটা কি জানো?
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোমরের স্পাইনাল কড সরে গেল।
ধীরে ধীরে বাতিস্তম্ভগুলো
নাকের ডগায় হেসে ওঠে হাসি পাগলির মতো।
বিকেল গড়িয়ে ঢুকে গেল
ফাঁকা উইলস ফিল্টারের খাপের ভিতর।
শীতের রাস্তায় গরম পোশাক নিয়ে বসে থাকা
ভূটানি রমনীর কাছে
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে উষ্ণতা সংগ্রহ করি।
ট্রেন চলাচলের এখনো কোনো খবর নেই
মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্লোসাইন বোর্ডে জুতোর বদলে এখন বোরোপ্লাস
এই ফুটপাতের স্টলে একদিন দেখা হয়েছিল ভার্জিনিয়া উল্ফের সঙ্গে
তারপর তাকে আর কোনদিন দেখিনি।
হঠাৎই একটা ট্রেন ধুলো উড়িয়ে চলে যেতেই পর্বত আরোহীরা ফিরে আসে।
শিল্প আশ্রম
একটু একটু করে অন্ধকার গাঢ় হয়
আয়নার ফলিত বিদ্যা এখন আর কোনোই কাজে লাগে না।
ঘুম পায়। ঘুম আসে না
শূণ্যতার ভিতর ঢুকে দেখেছি কোথাও কোনও
শূণ্যতা নেই
আছে শৈশব, স্কুলের দিন, হারনো বন্ধুদের রুমাল, হেডমাস্টারের মেয়ের হাতঘড়ি।
বয়স বেড়ে গেলে শৈশবের গল্প করি
যৌবনের দিনগুলো নিয়ে নদীর কাছে যেতে চাই না।
একটু একটু করে চাঁদ ডুবে যায়
ভাগীরথী শিল্প আশ্রমের দিকে। অতএব ভোর নামবে।
গাঢ় অন্ধকারে যে গাছ চিনতে পারিনি
আলোতেও তাকে চিনতে পারি না।
শুধু একবার মনে হল
গাছটির ছায়া অনেকটা বাবার মতন একা ক্লান্ত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন