কী হবে লিখিয়া

কী হবে লিখে অন্ধ কবিতা যদি না বুঝতে পারো
তোমার বুকের ভেতর খলবল করে মাতলা ধলেশ্বরী !

শব্দের বুকে কান পেতে শোনো সাত হাত কালো নিচে
মুক্তি আশায় নীরবে কাঁদছে কবিতার ঈশ্বরী

গভীর উড়ানে হয়তো বুঝবে ডানা পড়ে গেছে খসে
স্বপ্নের ঘোরে কলমের নিব হয়ে গেছে বেয়োনেট
কবিতা বসেছে বাউরি পাড়ায় ভিড়ে ঠাসা খেয়া ঘাটে
ধানখেতে কেউ নিবিড় নিড়ানে কেউ বা সোনালী মাঠে

কী হবে লিখে তরল কবিতা যদি না বলতে পারো
অন্ন পায় না উপেন কামার কবিতার ঈশ্বর !






২)

জয়জয়ন্তী

নিবিড় পাশেই মেঘ কুয়াশায় আড়াল করে বসবে..!
কালের ঘড়ির পল-অনুপল খানিক পরেই খসবে

তোমার ছন্দে বাঁধা সনেটগুলো বালিহাঁসের মতন পান্ডুলিপির বাঁধন খুলে কাব্যভূমির গাঁয়ে
নিরন্ন-দিন কৃষক-বধূর সঙ্গে ওড়ে বাঁয়ে

বাম অলিন্দে জীবন-গানের ঘর মাতানো সুরে
কালের রাখাল কন্ঠ মেলায় ব্যোম অনন্তপুরে

নিবিড় পাশেই মেঘ কুয়াশায় আড়াল করে বোসো
মানুষই গায় জয়জয়ন্তী,শুনেই যেও,রোসো




পঙ্কজ মান্না 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন