অক্ষর উৎসব ১৪৩০ বিকেল ৩:০০ থেকে ৬:০০টা ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার।
বীরভূমের প্রাচীন জনপদ কীর্ণাহারে একটি কবিতা আড্ডার আয়োজন করেছিল ভুবনডাঙা । কবিতা, কবিতা-পাঠ আর কবিতার জায়মান হয়ে-ওঠা--- এসবকে কেন্দ্র করে নিবিড় আড্ডা। তবে আড্ডার স্বাভাবিক ধর্মেই সে ছড়িয়ে পড়েছিল পরিধির দিকে, হয়ে উঠেছিল বহুমুখী, খোলামুখ। অনুষ্ঠানটির দুটি পর্ব প্রথম পর্ব " কথা যখন ঋত্বিক"-এর সঞ্চালনা করেন কবি দেবার্ঘ সেন ও দ্বিতীয় পর্ব "অক্ষর সঙ্গম"-এর সঞ্চালনা করেন কবি বাবলু ভৌমিক। শুরিতেই কবি প্রাবন্ধিক অনুবাদক রুদ্র কিংশুক-এর প্রারম্ভিক ভাষণ। রবীন্দ্রগানে ছিলেন কবি প্রাবন্ধিক শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। সভাপতি অসিম ব্যানার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলে। "কবিতার সেই সময় ও এই সময়' নিয়ে সংখিপ্ত আলোচনা করেন কবি কবিতা-তাত্ত্বিক প্রকাশ ঘোষাল। 'কবিতা লেখা কেন প্রয়োজন'- এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি প্রাবন্ধিক শান্তিময় মুখোপাধ্যায়। 'মানুষ ও কবিতা' নিয়ে বলেন কবি ঔপন্যাসিক স্বপন কুমার দত্ত এবং 'সমকালীন কবিতা প্রসঙ্গ ও নিরাপত্তা' নিয়ে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নদীপ রায়। এছাড়া বয়ন ১৪৩০ ৫ম বর্ষ ৯ম সংখ্যা প্রকাশ এবং তৎসহ ব্রতী মুখোপাধ্যায়-এর কাব্যগ্রন্থ "বর্ষা রাতের গল্প" অনিরুদ্ধ সুব্রত-র
"ব্রোঞ্জ শব্দের গান" রুদ্র কিংশুক-এর "সুগন্ধি নোঙর" সমিধ কবিতা প্রতিমাসে ২৭বর্ষ (এই সংখ্যার কবি অসীম ব্যানার্জি) ৫ম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হয়, কবি স্বপন কুমার দত্ত-এর বিশ্বের প্রথম এক পাতার কাব্য গ্রন্থ "জ্ঞাপকং স্বমূত্রপুষ্পং"। এবং ভুবনডাঙা স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয় কবি উমাশংকর রায়'কে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা থেকে উমাশংকর রায়, প্রধান অতিথি অরুণ কুমার রায়, বিশেষ অতিথি শান্তিময় মুখোপাধ্যায়।
তিনটে করে কবিতা পাঠে ছিলেন -
সন্তোষ দাস, বিষ্ণু চক্রবর্তী(বিশেষ কারণে আসতে পারেননি) ও নীলাদ্রি ভট্টাচার্য।
একটি করে কবিতা পাঠে ছিলেন সঙ্গীতা হাজরা, শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়, রূপায়ণ ঘোষ, সফিউর রহমান, নীলাদ্রি ভট্টাচার্য, সাধনকুমার দত্ত, চন্দ্রশেখর মণ্ডল, প্রণবকুমার মণ্ডল, গণপতি ঘোষ, কল্যাণ আচার্য, অসিকার রহমান, গৌরহরি পাল, হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ সুব্রত, রতন পালিত, সমর সুর, তাপস গুপ্ত, দেবার্ঘ সেন, দিলীপ চন্দ, স্বপ্নদীপ রায়, রুদ্রপলাশ মণ্ডল, বিমানকুমার মৈত্র, জ্যোতির্ময় মুখোপাধ্যায়, শান্তিময় মুখোপাধ্যায়, সমরেন্দ্র রায়, স্বপনকুমার দত্ত, অসীম ব্যানার্জি, শান্তনু রায়চৌধুরী, পিনাকী চট্টোপাধ্যায় ও আমিনুল ইসলাম।
সভাপতি অসিম ব্যানার্জির বক্তৃতা ভুবনডাঙা কতৃপক্ষকে বিশেষ আলোকিত করেছে। তাছাড়া একটি দীর্ঘ কবিতা পাঠ করেন সুন্দর গোপাল রুদ্র (ষষ্ঠীদা)। সবশেষে শান্তনু রায়চৌধুরীর গানে অনুষ্ঠানটির আপাত শেষ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পিনাকী চট্টোপাধ্যায়(পিন্টু)-এর একক প্রচেষ্টায় দৃষ্টান্তমূলক। তার কাছে টিম ভুবনডাঙা চির ভালোবাসায় আবদ্ধ থাকবে। যদিও ভুবনডাঙা থেকে কখনই পিনাকী চট্টোপাধ্যায় পৃথক নয়। অনুষ্ঠান শেষে আমরা ৯জন শান্তনু রায়চৌধুরীর বাড়িতে ছিলাম। খাবার আনা-নেওয়া পরিবেশনার দায়িত্বে ছিলেন নীলাদ্রি ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে আন্তরিক সহযোগী পত্রিকা ও প্রকাশনী সমিধ গীর্বাণ ছায়াবৃত ও বয়ন। আমরা সবায়ের সাথে কবিতার বন্ধনে রইলাম।
আদিত্য প্রত্যূষ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন