মুক্তি
এক ভারী অন্ধকারের নীচে আমিহাত নাড়াতে চেষ্টা করছি
পা নাড়াতে চেষ্টা করছি
ঠোঁট খুলতে চেষ্টা করছি
পারছি না
অকস্মাৎ কোনো ভারী বস্তুর চাপে উঠে বসি
মনে হল ঘরের ছাদ যেন নেমে এসেছে আমার বুক অবধি!
কোনও জানালা নেই,
একটি মাত্র দরজা
দরজা খুলতেই আর একটি ঘর,
কোনো জানালা নেই
কেবল একটিই দরজা
এরপর আর একটি ঘর,
তারপর আর একটি ঘর, আর একটি মাত্র দরজা
তারপর আর একটি, তারওপর
আর একটি
এমন ভাবে ঘর পেরিয়ে পেরিয়ে
যখন দরজা খুললাম–
সামনে সরল বিশ্বাসের মতো
খোলা আকাশ। আকাশের গায়ে শেফালী ফুল চাঁদ
সেই চাঁদ অভিমুখে শিস দিতে দিতে
উড়ে যাচ্ছে আমার প্রাণপাখি!
আঁখিতারা
মেঘমেদুর আকাশে
চোখের জলের মতো টলটল করছে
দু'টি তারা। এই বুঝি ঝরে পড়বে
অকস্মাৎ তীব্র রশ্মিপতন
ধুলো গলে এক অনির্দিষ্টকালের নদী
তুমি নৌকাপথে চলে যাচ্ছো
অবিশ্বাস্য দূরে
এমন দৃশ্যে
আমার দৃষ্টির 'পরে ঝাপসা অন্ধকার
নিদারুণ ব্যথায়
তোমার অবশেষখানি
আঁজলাভরে তুলি
কোথায় বা সে নদী!
করতলে ফুটে দু'টি তারা
অশ্রুরেখা ধরে উঠে আসে
আমার দু'চোখের গভীরে!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন