শিশির বিন্দু
তরীটি টেনে নিয়ে চলেছে মহাশূন্য
ওরা উড়ছে
কোনো গ্রহান্তরের বীজ
স্বেচ্ছাচারি বাতাসে পুনর্নির্মাণের শা শা শব্দ
দেখা যায় না উর্দ্ধমুখী কালের সীমা
আরও দূরে ধাতুর নিষ্কাষণের নালা
যেখানে উনুনে দশ গুণ হয়ে জ্বলে ওঠে নক্ষত্রমণ্ডলী
পর পর বিষ্ফোরণ
বিক্ষত এক নারী নিয়ে আসে একটি উপসাগর
দিগন্ত বিস্তৃত অন্ধকারের মধ্যে জলের অপার মহিমার মতো এ এক শাশ্বত মানবিক অস্তিত্ব
অতুলনীয় তার আঙুল গুলো ফুঁপিয়ে কাঁদে
কে বাজায় তার অন্তর্গত ভাঙা মন্দিরাটি
ভেসে আসে ডাঙা
আর সব কিছুর অস্থিরতায় একটি পলি মাটির স্তর পড়ে
খুঁজে পায় ঘাসের ওপরে শিশির বিন্দু
ততক্ষণে কোনো এক চালাঘরের পেছনে আলোর শতরূপ
সূর্যের মধ্যে দেখা যায় মাটির দেয়াল
পৃথিবীর প্রতি ক্ষমার অঙ্গীকার
আর ফসল ফলানোর জোয়ার ঠেলে নিয়ে আসে ছয়টি ঋতুর মুখবন্ধ পাত্রটি
মানুষের প্রতীক
মেঘের ভেতরে সেই ভাঙা মন্দিরাটি
প্রতিধ্বনি আসে গভীর থেকে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন