মারিয়াকে নিয়ে লেখা




তোমার সেই গোলাপি শহরে আজ আর কেউ ভালো নেই মারিয়া।

মদের দাম খুব বেড়ে গেছে। 

অধ্যাপকেরা এখন পদাধিকারবলে কবি হয়েছেন।

একটা পরাজিত দেশে এর বেশি কিছু আশা করা অনুচিত।

পরাজয় মেনে নিলে তোমার শহর যতই গোলাপি হোক কেউই ভালো থাকতে পারে না। 







মারিয়ার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল সেই যে বছর দু দেশের খুব যুদ্ধ হয়েছিল—এ শরীর—এই বিজয়ী দেশ আমার দেশ।

জয়ের আনন্দে অধ্যাপকেরা সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্ল্যাকবোর্ডে একটাই শব্দ বারবার লিখেছিল, 

চার অক্ষরের একটাই শব্দ

লিখেছিল






মর্গের শান্ত অন্ধকারে শুয়ে আছে মারিয়া। 

অতিরিক্ত কয়েক পেগ ভদকার পরে সস্তা বার থেকে যখন সে বেরিয়ে এসেছিল ক্ষতবিক্ষত সারাটা শরীর তখন তার যুদ্ধক্ষেত্র। 

ছোট আবছায়া ঘরে ফ্রেমে বাঁধানো এক রোগা যুবকের সাদা কালো ছবিতে আলতো হাত বোলানোর সময়ে সে জানত অ্যালজোলামের তেরোখানা স্ট্রিপ আছে ড্রয়ারে।

এ সবই নিছক কল্পনা মাত্র।

আসলে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত পরাজিত দেশের নাম মারিয়া।





রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন